অনাথ সারমেয়শিশুর আশ্রয়দাতার খোঁজ করছেন শ্রীলেখা মিত্র।
অনাথ সারমেয়শিশুর আশ্রয়দাতার খোঁজ করছেন শ্রীলেখা মিত্র। সঙ্গে জোড়হাতে নিবেদন, ‘কফি ডেটের বিনিময়ে নয়’! সদ্য ভেনিস থেকে ঘুরে এসেছেন অভিনেত্রী। কিন্তু তাঁর বুধবারের পোস্ট বলছে, এই বিদেশ ভ্রমণ তাঁর অতীত ক্ষত মুছতে পারেনি। শশাঙ্ক ভাভসার, ডেটিং, পথপশুর মৃত্যু আজও তাঁকে তাড়া করে ফিরছে। সেই জন্যই কি এই ফেসবুক-বার্তা তাঁর? আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে অকপটে স্বীকার শ্রীলেখার, ‘‘একটি শিশুকে হারিয়েছি। মুখোশধারী মানুষকে চিনেছি। একান্তে দেখা করার জন্য কুকুরদের হাতিয়ার বানিয়েছি, এমন বদনামের ভাগীদারও হয়েছি। এত সহজে এত কিছু ভুলি কী করে?’’ তার পরেই শ্রীলেখা বিস্ফোরক। নির্দ্বিধায় জানিয়েছেন, ‘‘ইউরোপে গিয়ে দু’জন সুপুরুষের সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ করে এলাম। তার জন্য শ্রীলেখা মিত্রকে শেষে কুকুরদের হাতিয়ার বানাতে হবে! আমি যা করেছিলাম সেটা পথপশুদের ভাল চেয়ে করেছিলাম। এই ভাবনা আমাকেই বিদ্ধ করবে ভাবিনি।’’
কথায় কথায় অভিনেত্রী জানালেন, তাঁর এক নয় একাধিক ক্ষত, অনেক অভিমান। ২১ বছর পরে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে আদিত্যবিক্রম সেনগুপ্তের ‘ওয়ান্স আপঅন আ টাইম ইন কলকাতা’ ছবির হাত ধরে ফের বাংলা ছবি আমন্ত্রণ পেয়েছিল। তারই প্রতিনিধিত্ব করতে শ্রীলেখা ১৪ দিন সুইৎজারল্যান্ড সহ ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে এলেন। অভিনেত্রীর দাবি, তিনি সেখানে যা সম্মান পেয়েছেন তা নিজের শহর তাঁকে দেয়নি। উদাহরণ হিসেবে জানান, চলচ্চিত্র উৎসবের প্রিমিয়ারের ভিডিয়োয় ব্লেক নেলসন, এডুয়ার্ডো স্কার্পেটার, নেপোলিটান ওয়ার্ল্ডে, টনি সার্ভিলোর মতো এক ঝাঁক আন্তর্জাতিক তারকার সঙ্গে তাঁর ছবি রেখেছিলেন আয়োজকেরা। শ্রীলেখার প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনুপমা চোপড়ার মতো সমালোচক। অথচ নিজের শহরে তাঁর কোনও কদর নেই।
অভিনেত্রীর দাবি, এই কারণেই তিনি মানুষের থেকে, সভ্য সমাজের থেকে দূরে থাকেন। ভালবাসেন সারমেয় সঙ্গ। আর তাই বুধবারে অনাথ সারমেয়ের আশ্রয়দাতার খোঁজ করতে গিয়ে শ্রীলেখার কটাক্ষ, ‘রাস্তার কুত্তা নয়। সারমেয়টি জাতে গোল্ডেন রিট্রিভার। তাই আমি যেখানে থাকি সে রকম বহুতলের সভ্য সমাজের মানুষদের অসুবিধে হবে না আশা করা যায়’। তাঁর ক্ষোভ, দেবশ্রী রায়ের থেকে শুনতে হয়েছে তিনি কুকুরদের ব্যবহার করেছেন। যে বাম দলের তিনি আজন্ম সমর্থক সেই দলের এই প্রজন্ম তাঁকে সারমেয়ের কারণে কটূক্তি করেছেন। শ্রীলেখার দাবি, আর তিনি ঘরের খেয়ে বোনের মোষ তাড়াবেন না। যে ভাবে পারবেন সারমেয়দের পাশে থাকার চেষ্টা করবেন। বাঁচবেন নিজের শর্তে।