শ্রীলেখা মিত্র, অভিনেত্রী।
রাতারাতি শ্রীলেখা মিত্রের ইয়া বড় গোঁফ! কী করে হল? শনিবার নেটমাধ্যম ফেটে পড়েছে এই কৌতূহলে। আনন্দবাজার ডিজিটালকে শ্রীলেখা জানিয়েছেন, লকডাউনে সালোঁ যেতে পারছেন না। ফলে, ভ্রূ আর ঠোঁটের উপরে বাড়তি লোম গজিয়েছে। শনিবার সে দিকে চোখ যেতেই নিজেকে নিয়ে রসিকতা করার লোভ সামলাতে পারেননি। ছবিতে গোঁফের ইমোজি বসিয়ে নেটমাধ্যমে ভাগ করে নিতেই এই কাণ্ড। তার পরেই কটাক্ষ তাঁর, ‘নিজের ফুটেজেই জনপ্রিয় হচ্ছি!’
সপ্তাহান্তে, ছুটির দিনে নিজেকে নিয়ে বেশ মেতে ছিলেন। হঠাৎ এই মন্তব্য কেন? নেটমাধ্যম বলছে, ইন্ধন জুগিয়েছেন নেটাগরিকেরাই। শ্রীলেখা ছবি ভাগ করার সঙ্গে সঙ্গে এক জনের মন্তব্য, ‘রিমিঝিম এটা দেখে এক্ষুণি আবার ছড়াতে বসবে’। সে কথা তুলতেই অভিনেত্রী বললেন, "আমায় কিছু বলতে হচ্ছে না। নেটাগরিকেরাই আমার হয়ে জবাব দিয়ে দিচ্ছেন।" তাঁর কথায়, কিছু দিন আগে তাঁর শরীর নিয়ে জঘন্য মন্তব্যের জন্য নেটমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে সমালোচিত হয়েছেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ রিমঝিম মিত্র। তার পরেই রিমঝিম নিজের সামাজিক পাতায় কটাক্ষ করেন, ‘যার যার বাজার মন্দা যাচ্ছে ফুটেজের জন্য নিজে খেটে খান। আমার নামে ফালতু বিল কাটবেন না’। শ্রীলেখার দাবি, তিনি মুখে না বলে কাজে করে দেখিয়ে দিলেন ‘নিজের ফুটেজেই জনপ্রিয়’ তিনি।
টালিগঞ্জের অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক তিনি। নাম না করে হুল বিঁধিয়েছেন শ্রীলেখা, ‘‘প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সম্পর্ক, স্বজনপোষণ নিয়ে যখন মুখ খুলেছিলাম, তখন জনৈক অভিনেত্রী আমার বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছিলেন। আমার শরীর নিয়ে যখন এত নোংরামি হল, আমাকে ‘বাজারি’ বলা হয়েছিল, তখন তিনি কোথায়?" তাঁর তোপ, "এক বারের জন্যেও ইন্ডাস্ট্রির কেউ তো এ সবের প্রতিবাদ জানালেন না!"
অভিনেত্রীর ক্ষোভ, এই জন্যেই তিনি ‘ইন্ডাস্ট্রি’ থেকে দূরে থাকেন। জানেন, ‘ঝাঁকের কই’ হতে না পারলে লাভ নেই। তাঁর কাছে সিনে দুনিয়ার বাইরের মানুষেরা তাই বেশি ভাল। শ্রীলেখার উদাহরণ, ‘‘দেখুন,ওঁরা কী সুন্দর ‘গোঁফ এবং রসালো ঠোঁটের রেয়ার কম্বিনেশন’ খুঁজে নিয়েছেন!’’