বরখা বিস্ত সেনগুপ্ত
এক সুন্দরী রমণী। তাঁর সম্মোহনের ছটায় মুগ্ধ পুরুষ। তার টানে চলে যায় পুরুষকুল। তারা কি ফেরে? তিনি কে? ছেলেধরা? ডাইনি? ঘটনা কি সত্যি?
হেসে উঠলেন কামিনী ওরফে বরখা বিস্ত। রহস্যে ঘেরা তাঁর চোখ। তাঁকে উপেক্ষা করে এমন সাহস কারই বা আছে?
‘‘খুব চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ। ডাইনি থেকে মোহময়ী, সব লুকেই আমি হাজির। এটা হরর কমেডি। আমি কলকাতায় এসেছি। ভাল লাগছে এই প্রযোজক সংস্থার সঙ্গে কাজ করে। সৌরভ দাসও খুব ভাল।’’ বললেন বরখা। ‘পৃথিবী’, ‘ভিলেন’, ‘অ্যাকশান’, ‘ব্ল্যাক’, ‘আমি সুভাষ বলছি’-র মতো বাংলা ছবিতে দেখা গিয়েছে বরখাকে। মুম্বই নিবাসী এই অভিনেত্রী চুটিয়ে ধারাবাহিকে কাজ করেন। সেখান থেকে এ রকম সিডাক্টিভ চরিত্র!
ফোটোসেশনের মাঝে বরখা।
কোনও আড়ষ্টতা ছিল?
‘‘এখানে কিছু ইন্টিমেট সিন আছে। ওয়েব সিরিজ বলে এই বাস্তবকে তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে। সৌরভ এই ইন্টিমেট সিনে এত সহজ ছিল যে আমার কাজ করতে কোনও অসুবিধে হয়নি,’’ ভাঙা ভাঙা মিষ্টি বাংলায় বললেন বরখা। এই ছবিতে ধারাবাহিক ‘কলের বউ’ এর অভিনেত্রী তৃণা সাহাও কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ফিল্ম রিভিউ ‘আড্ডা’: সবথেকে বড় পাওনা সৌমিত্র এবং সব্যসাচী
ইন্দ্রনীল আপনার এই ধারার কাজে কতটা সহযোগিতা করেন?
‘‘আমাদের পারস্পরিক বোঝাপড়াই আমাদের সম্পর্ককে দীর্ঘকালীন করেছে। আমরা এক ইন্ডাস্ট্রিতে আছি বলেই আমি এ ভাবে বাচ্চা, সংসার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। অন্য কোনও মানুষ হলে প্রশ্ন করত যে মাঝরাত অবধি কেন শুট হচ্ছে? কেন এত কাজ? ও সবটা বোঝে।’’ তৃপ্তির স্বরে ভরপুর বরখা। কাজ নিয়ে কোনও তাড়া নেই বরখার। এক একটা প্রজেক্টে কাজ করে রেস্ট নিয়ে আবার নতুন কাজে হাত দিতে চান।
চিত্রনাট্যের গুরুত্ব বুঝে যেমন ঘনিষ্ঠ দৃশ্য করার সাহস রাখেন, তেমনই ব্যক্তিগত জীবনে বর ইন্দ্রনীলকে অষ্টমীতে জোর করেই অঞ্জলি দেওয়ার সময় পাঞ্জাবি পরান। ‘‘ভাবুন, আমি ওকে জোর করে পাঞ্জাবি পরাই। ও তো পরতেই চায় না। দুর্গাপুজোয় অষ্টমীর অঞ্জলি থেকে সব রিচুয়াল আমি পালন করি,’’ উত্তেজনা বরখার গলায়। কেরিয়ার আর সংসার দিব্যি সামলাচ্ছেন তিনি। আর এই সামলাতে সামলাতেই এগারো বছর।
আরও পড়ুন: ইউটিউব চ্যানেল খুলেই ৪ মিনিটের বিশেষ ভিডিয়ো শেয়ার করলেন এই বলি নায়িকা
দু’জনেই সুন্দর। দু’জনেই ভাল অভিনেতা। দু’জনেই এক ইন্ডাস্ট্রিতে। এগারো বছর থাকলেন কী করে?
‘‘বিশ্বাসের উপর। বিশ্বাস ছাড়া আমরা আর অন্য কিছু করতে পারি না। এখন মানুষের ধৈর্য নেই তাই এত দ্রুত বিয়ে ভাঙে। কিন্তু এই সম্পর্কটা যাতে থাকে, আমরা দু’জনেই কেবল তার চেষ্টা করে গেছি। এই শ্রমটাই দিয়েছি। সেই কারণেই এত দিন,’’ হাসলেন বরখা। তাঁর হাসিতে বৃষ্টি পড়ে।
একান্তে বরখা ও ইন্দ্রনীল
ইন্দ্রনীলের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করতে তিনি আগ্রহী। দু’জনেরই যথেষ্ট ফ্যান ফলোয়ার। ইন্দ্রনীল ইনসিকিওরড হয়ে যান না?
‘‘যায় তো। তবে আমি হই না। আমি বলি, আমি ওর চেয়ে অনেক ভাল!’’ হেসে উঠলেন বরখা। মেয়েকে দুর্গাপুজো দেখাতে, বাঙালির ঐতিহ্য চেনাতে এই প্রথম সবাই কলকাতায় পুজো কাটাবেন। ঝলমলিয়ে উঠলেন তিনি দুর্গাপুজো নিয়ে।
পুরুষ ধরা লাস্যময়ী ‘কামিনী’? না কি খাঁটি বাঙালি বাড়ির বউ? কার সঙ্গে কথা বলছিলাম?
বেশ গুলিয়ে গেল সব! কেমন যেন রহস্য সব... গা ছমছমে!