রুদ্রজিৎ-প্রমিতা।
বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন অভিনেত্রী প্রমিতা চক্রবর্তীর। কলকাতার ফ্ল্যাটে শুধুই তিনি আর অভিনেতা স্বামী রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায়। পার্টি তো বনতা হ্যায়। আনন্দবাজার ডিজিটালকে অভিনেত্রী আগাম জানিয়েছিলেন ‘স্পেশাল’ কিছুই করতে চলেছেন রুদ্রজিৎ।
নতুন বৌয়ের জন্মদিন কতটা স্পেশাল হল? উচ্ছ্বসিত প্রমিতার আন্তরিক জবাব, ‘‘প্রত্যেক বছরেই জন্মদিন হয় আমার। মা-বাবা ঘটা করেই পালন করেন। কিন্তু কোনও দিন গোটা বাড়ি সাজিয়ে উদযাপন হয়নি। খুব আশা ছিল, কোনও একটি জন্মদিনে যদি এমনটা হয়! কথায় কথায় জানিয়েছিলাম রুদ্রকে। রুদ্র দেখলাম, সেটাই করে চমকে দিল।’’
প্রমিতার কথা অনুযায়ী, তাঁর ইচ্ছে পূরণ করতে গত রাত থেকেই মনের মতো করে বাড়িয়ে সাজিয়েছেন অভিনেতা। আলোয়, হার্ট শেপ লাল বেলুনে। ছিল সাদা, হলুদ বেলুনও। দেওয়ালে আটকানো হ্যাপি বার্থ ডে মোটিফ। তাতেও ঝিকমিক করছে আলো। সঙ্গে প্রমিতার নাম লেখা হৃদয়ের আকারের লাল ভেলভেট কেক। রাত ১২টা বাজতেই স্লিভলেস, হাঁটু ছোঁয়া ড্রেসে ‘পরি হুঁ ম্যায়’ প্রমিতা। সাদা ব্লেজারে যথারীতি সুপুরুষ রুদ্রজিৎ। কেক কাটা, জন্মদিনের গান, শুভেচ্ছা, একে অন্যকে কেক খাইয়ে দেওয়া-- রীতি মেনেই হয়েছে সব। ‘‘আর খেয়েছি বিরিয়ানি, ফিরনি। আমাদের ভীষণ পছন্দের খাবার। ডায়েট করতে গিয়ে এসব ভুলেই গিয়েছি প্রায়। কিন্তু জন্মদিনের আগে কে ডায়েট করে?’’ যুক্তি ‘বার্থ ডে গার্ল’-এর।
বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন অভিনেত্রী প্রমিতা চক্রবর্তীর।
জন্মদিনের দিন? তারও নিশ্চয়ই বিশেষ পরিকল্পনা আছে? ‘‘অবশ্যই’’, জোরাল উত্তর এল। প্রমিতার সারা দিন কাটবে বাবার বাড়িতে। মা-বাবার সঙ্গে। তাঁদের আদর-ভালবাসা-আশীর্বাদ নিয়ে। কিছু সময়ের জন্য হয়তো শ্যুটিংয়ে থাকবেন রুদ্রজিৎ। তার পর তিনিও যোগ দেবেন সেখানে।