সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
চিকিৎসায় একেবারেই সাড়া দিচ্ছেন না সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সকালে পরিবারের লোকজনকে এক দফা হাসপাতালে ডেকে আনা হয়েছিল। তার পর তাঁরা বাড়ি চলে যান। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই ফের তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে ডেকে পাঠানো হয়। বেলভিউ সূত্রে খবর, চিকিৎসায় কোনও সাড়া দিচ্ছেন না বর্ষীয়ান অভিনেতা। তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে নার্সিংহোমের পথে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জানা যাচ্ছে, অশীতিপর অভিনেতার একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কার্যক্ষমতা হারিয়েছে। ১০০ শতাংশ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে।
বেলভিউয়ের পথে রওনা হওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন সৌমিত্র-কন্যা পৌলমী। তিনি বলেন, ‘‘বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে। তার পর এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব আমরা। চিকিৎসকেরা ওখানে থাকতে বলেছেন আমাদের। ’’ সৌমিত্রের ছেলে সৌগত বলেন, ‘‘সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত আমাদের কিছু জানানো হয়নি। দুপুর নাগাদ হাসপাতাল কিছু বলতে পারে। অবস্থা খুবই খারাপের দিকে। খবর ভাল নয়।’’
শুক্রবার সৌমিত্রর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাঁর পর প্রায় ৩৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এখনও কোনও রকম উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক অরিন্দম কর।
তিনি বলেন, “আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গত ৪০ দিন ধরে সব রকম প্রচেষ্টা চালিয়েছি। তাঁর অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হয়েছে। সৌমিত্রকে নিয়ে এখন অলৌকিকেই ভরসা করতে হবে আমাদের।” হাসপাতালে আসার জন্য সৌমিত্রর পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সমাজকর্মী জিজা ঘোষকে একটি মলে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ
তিন দিন আগেই শ্বাসনালিতে অস্ত্রোপচার হয় সৌমিত্রর। অস্ত্রোপচার সফলও হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তাঁর শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিকঠাকই কাজ করছে। তবে তিনি খুব দুর্বল। শ্বাসনালিতে অস্ত্রোপচারের পর সৌমিত্রর প্লাজমা থেরাপিও করা হয়।