—ফাইল চিত্র।
অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থা স্থিতিশীল। নতুন করে আর ডায়ালিসিস করতে হয়নি তাঁর। এখনও যদিও ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন অশীতিপর অভিনেতা। তবে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়নি। বরং আপাতত স্থিতিশীলই রয়েছেন তিনি।
নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ৬ অক্টোবর বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি হন সৌমিত্র। তার পর থেকে গত এক মাসে বার বার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। মঙ্গলবার তাতে সামান্য উন্নতি ঘটে। বুধবারও সৌমিত্রের অবস্থা স্থিতিশীল বলে বেলভিউয়ের তরফে জানানো হয়েছে।
রাত ৯টার বুলেটিনে এ দিন বেলভিউয়ের চিকিৎসক অরিন্দম কর বলেন, ‘‘আজ সারাদিন তেমন উদ্বেগজনক কিছু ঘটেনি। বরং সবকিছু স্বাভাবিকই ছিল। সৌমিত্রবাবুও স্থিতিশীল রয়েছেন। তাঁর অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সচলতায় নতুন কোনও পরিবর্তন ঘটেনি।’’ গ্লাসগো কোমা স্কেলের সূচকে সৌমিত্রের মস্তিষ্কের সচেতনতা আগের মতোই ১০-এ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ, গ্রেফতার রিপাবলিক টিভির প্রধান সম্পাদক অর্ণব গোস্বামী
তবে আপাতত অবস্থা স্থিতিশীল হলেও, রক্তের শ্বেতকণিকা, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা এবং প্লেটলেট ফের কমে যাওয়ায়, এখনও বিপদ কাটেনি বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। রক্তক্ষরণের পর রক্ত দেওয়া হয়েছিল অভিনেতাকে। নানারকম ওষুধপত্রও দেওয়া হয়েছিল। তার জেরেই এমনটা হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কিছু ছবির পরেই বলিউডকে বিদায়, নিজের শর্তে জীবন কাটাতে ভালবাসেন এই ধনকুবের-কন্যা
এ ছাড়াও, রক্তে ক্রিয়েটিনিন এবং ইউরিয়ার মাত্রা কমে গিয়েছে সৌমিত্রের। মূত্র নির্গমনও কম হচ্ছে। যাওয়ায় মূত্র নির্গমন কম হচ্ছে বলে জানানো হচ্ছে। এ দিন নতুন করে ডায়ালিসিস না করা হলেও, কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ানো নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য বৃহস্পতিবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে অ্যান্টিবায়োটিক কত দিন চালানো যায়, সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে কথা বলা হবে সৌমিত্রর পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও।