Soumitra Chatterjee

সৌমিত্রের চলে যাওয়ায় মন খারাপ বলিউডের, ‘মূর্ত কিংবদন্তি’ বললেন অমিতাভ

মায়ের প্রথম নায়ক ছিলেন তিনি, স্বাভাবিক ভাবেই মন ভারী  শর্মিলাকন্যা সোহার। ইনস্টাগ্রাম পেজে তাই মায়ের সঙ্গে কিংবদন্তি অভিনেতার ছবি শেয়ার করে শ্রদ্ধা জানালেন তাঁকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২০ ২০:১০
Share:

সৌমিত্রের চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছে না বলিউড।

টলিউডের পিতৃবিয়োগের আঁচ গিয়ে পৌঁছল আরব সাগর তীরে মায়ানগরীতে। বলিউডও মেনে নিতে পারছে না উদয়ন পণ্ডিতের চলে যাওয়া। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আর সকলেই মতো স্মৃতি ভারাক্রান্ত অমিতাভ বচ্চনও। কলকাতায় সৌমিত্রর সঙ্গে শেষ দেখার কথা মনে পড়ছে তাঁর। সৌমিত্রকে ‘মূর্ত কিংবদন্তি’ আখ্যা দিয়ে অমিতাভ লিখেছেন, ‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম স্তম্ভের পতন হয়েছে... ’। এ শহরে ফিল্মোৎসবের সময় তাঁদের শেষবার দেখা হয়েছিল। সেদিনের কথা টুইটারে লিখেছেন তিনি।

মায়ের প্রথম নায়ক ছিলেন তিনি, স্বাভাবিক ভাবেই মন ভারী শর্মিলাকন্যা সোহার। ইনস্টাগ্রাম পেজে তাই মায়ের সঙ্গে কিংবদন্তি অভিনেতার ছবি শেয়ার করে শ্রদ্ধা জানালেন তাঁকে। ‘অপুর সংসার’, ‘দেবী’-র মতো ছবিতে শর্মিলার সঙ্গে কাজ করেছেন সৌমিত্র। মায়ের কাছ থেকে শোনা সেই গল্পগুলো আজ কি আবার নতুন করে মনে পড়ছে সোহার?

মন ভাল নেই আরও এক বাঙালির। আজ থেকে প্রায় বছর ১৫ আগে অপর্ণা সেনের ‘১৫ পার্ক অ্যাভিনিউ’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্রের সঙ্গে রাহুল বোস। তারপর আর খুব বেশি বাংলা ছবি করেননি। তবে আজ স্মৃতিমেদুর রাহুল। একসঙ্গে কাজ করার সময় কিংবদন্তি অভিনেতার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো এখনও ফিকে হয়নি অভিনেতার মনে। টুইট করে তিনি লিখেছেন, ‘তাঁর ছবি দেখে আমি বড় হয়েছি। সেই মানুষটার সঙ্গে ‘১৫ পার্ক অ্যাভিনিউ’ ছবিতে কাজ করেছি তখন সেটা বিশ্বাস হচ্ছিল না। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমার সব প্রশ্নের উত্তর খুব যত্ন করে ভালোবেসে দিয়েছিলেন তিনি। সৌমিত্রদা র সঙ্গে কাজ করাটা আমার সৌভাগ্য’।

Advertisement

টলিউড থেকে বলিউড, সবার সঙ্গে সখ্য ছিল অভিনেতার। কারও কাছে তিনি ‘সৌমিত্র জেঠু’, কারও আবার ভালবাসার ডাক ‘সৌমিত্রদা’। ঠিক সেই রকমই একজন অভিনেত্রী শাবানা আজমি। আজকের দিনে স্মৃতির পাতা উল্টে ‘সৌমিত্রদা’র অতীতের দিনগুলো দেখতে পাচ্ছেন তিনি। অভিনেতার সঙ্গে একবার প্যারিসে দেখা হয়েছিল তাঁর। অভিনেত্রীর এখনও মনে আছে সেখানকার ‘জর্জ পম্পিডৌ সেন্টার’-এ কতটা সমাদৃত হয়েছিলেন বাংলার অভিনেতা। কিন্তু তার পরেও তাঁর নির্বিকার থাকাই যেন মুগ্ধ করেছিল শাবানাকে।

বাংলার সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ নেই অভিনেতা অনিল কপূরের। কিন্তু চলচ্চিত্রের আকাশের এই নক্ষত্রপতন ভাবিয়েছে তাঁকেও। জানিয়েছেন, সৌমিত্র তাঁর অনুপ্রেরণা। তাঁর মতোই পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকর, ওনির, নওয়াজউদ্দিন, মনোজদের মনও ভারাক্রান্ত। কিংবদন্তির চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না বলিউডের অন্যতম সেরা পরিচালক এবং অভিনেতারা।

Advertisement

১৯৫৯ সালে ‘অপুর সংসার’ দিয়ে শুরু পথ চলা। তারপর তৈরি করেছেন একের পর এক মাইলস্টোন। কখনও উদয়ন পণ্ডিত হয়ে বেঁচে থাকার মন্ত্র শিখিয়ে, কখনও আবার ফেলুদা হয়ে মগজাস্ত্রে শান দিয়ে একের পর এক রহস্যে জট খুলে দর্শকের মনে চিরস্থায়ী জায়গা তৈরি করেছেন তিনি। অভিনেত্রী সায়নী গুপ্তও তাঁকে সবচেয়ে বেশি ‘ফেলু মিত্তির’ হিসাবেই মনে রেখেছেন। তাঁর টুইট জানিয়ে দেয়, সৌমিত্র অভিনীত এই চরিত্রের প্রতি তাঁর গভীর ভালবাসার কথা।

আরও পড়ুন: সৌমিত্রের প্রয়াণে শোকাতুর টলিউড, কী বলছেন স্বাতীলেখা, দেব, ঋতুপর্ণারা?

গত ৬ অক্টোবর থেকে দীর্ঘ লড়াই চালিয়েছেন অভিনেতা। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি। চলে গেলেন তিনি। রেখে গেলেন অসামান্য কিছু সৃষ্টিকর্ম।

আরও পড়ুন: অপু থেকে অমূল্য, ময়ূরবাহন, ফেলুদা... প্রজন্মজয়ী সৌমিত্র ছাপ ফেলেছেন সব ভূমিকাতেই

arআরও পড়ুন:

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement