bollywood

বাড়ির অমতে বিয়ে বিবাহিত মহেশকে, অভিনেত্রী সোনি রাজদান রয়ে গেলেন স্বামী-মেয়ের খ্যাতির আড়ালেই

পরভিন বাবির সঙ্গে মহেশের প্রেমের জেরে লোরেন সরে গিয়েছিলেন সম্পর্ক থেকে। কিন্তু তাঁরা ডিভোর্স করেননি। প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না করেই ১৯৮৬ সালে সোনিকে বিয়ে করেন মহেশ। তার আগে দু’ বছর তাঁদের সম্পর্ক গোপন ছিল।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০ ১০:৫৯
Share:
০১ ১৮

মা জার্মান বংশোদ্ভূত । বাবা, কাশ্মীরি পণ্ডিত। তিনি নিজে বড় হয়েছেন ইংল্য়ান্ডে। কিন্তু কাজ করেছেন ভারতীয় বিনোদন দুনিয়ায়। কিন্তু স্বামী এবং মেয়ের পরিচয়ের আড়ালে কোথায় যেন মিলিয়ে গিয়েছে সোনি রাজদানের নাম।

০২ ১৮

ইংল্য়ান্ডের বার্মিংহ্যামে সোনির জন্ম ১৯৫৬ সালের ২৫ অক্টোবর। লন্ডনের স্কুল অব মিউজিক অ্য়ান্ড ড্রামা থেকে পাশ করার পরে ব্রিটিশ থিয়েটারে তাঁর হাতেখড়ি জন ফাউলারের নাটক ‘দ্য কালেক্টর’ দিয়ে। পরবর্তীতে ভারতে চলে আসেন সোনি।

Advertisement
০৩ ১৮

ভারতে প্রখ্যাত নাট্যব্য়ক্তিত্ব সত্যদেব দুবের পরিচালনায় কাজ শুরু করেন সোনি। মঞ্চে অভিনয় করতে করতেই ছবিতে সুযোগ। সোনির প্রথম ছবি ‘৩৬, চৌরঙ্গি লেন’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮১ সালে। সে বছরই তিনি অভিনয় করেন ‘আহিস্তা আহিস্তা’-য়।

০৪ ১৮

আশির দশকে ভারতীয় দূরদর্শনের আইকনিক ছবি ‘বুনিয়াদ’-এ সুলোচনা চরিত্রে সোনির অভিনয় দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিল। এর পর তিনি দীর্ঘদিন ছোট পর্দায় অভিনয় করেননি। ২০১৭ সালে সোনিকে দেখা গিয়েছে ‘লভ কা হ্য়ায় ইন্তেজার’ ধারাবাহিকে।

০৫ ১৮

বলিউডে বেশি ছবিতে অভিনয় করেননি সোনি। কিন্তু যে কয়েকটি ছবিতে তিনি কাজ করেছেন, তাঁর উপস্থিতি দাগ কেটে গিয়েছে দর্শকমনে। ‘মান্ডি’,‘সারাংশ’, ‘ত্রিকাল’, ‘সারাংশ’, ‘ড্য়াডি’, ‘সড়ক’ ‘গুমরাহ’, ‘মনসুন ওয়েডিং’, ‘পেজ থ্রি’ এবং সম্প্রতি ‘রাজি’ তাঁর ফিল্মোগ্রাফিতে উল্লেখযোগ্য।

০৬ ১৮

‘সারাংশ’ ছবিতে অভিনয়ের সময় মহেশ ভট্টের সঙ্গে আলাপ সোনির। পরিচালক মহেশের প্রথম দাম্পত্যের বয়স তখন ষোল বছর। তিনি তখন রাহুল ও পূজা, দুই সন্তানের বাবা। কিন্তু প্রথম স্ত্রী লোরেন ব্রাইটের সঙ্গে মহেশের দাম্পত্য তখন শুধুই খাতায়কলমে।

০৭ ১৮

পরভিন বাবির সঙ্গে মহেশের প্রেমের জেরে লোরেন সরে গিয়েছিলেন সম্পর্ক থেকে। কিন্তু তাঁরা ডিভোর্স করেননি। প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না করেই ১৯৮৬ সালে সোনিকে বিয়ে করেন মহেশ। তার আগে দু’ বছর তাঁদের সম্পর্ক গোপন ছিল।

০৮ ১৮

এই বিয়েতে তীব্র আপত্তি ছিল সোনির পরিবারের। কিন্তু সোনিকে তাঁর পরিকল্পনা থেকে সরানো যায়নি। মহেশ-সোনির প্রথম সন্তান শাহিনের জন্ম হয় ১৯৮৮ সালে। ছোট মেয়ে আলিয়ার জন্ম ১৯৯৩-এ।

০৯ ১৮

মহেশকে বিয়ে করে তাঁর কেরিয়ারে কোনও বাড়তি সুবিধে হয়নি। সিমি গারওয়ালের টক শো-এ জানান সোনি। সেখানে তাঁর পাশে বসে মহেশও স্বীকার করেন,তিনি মেয়ে পূজাকে যে টুকু সাহায্য করেছেন, স্ত্রী সোনিকে সেই সাহায্য করেননি।

১০ ১৮

মহেশের প্রথম পক্ষের মেয়ে পূজা জানিয়েছেন, প্রথম দিকে তিনি সোনিকে ঘৃণা করতেন। এমনকি, সোনি নিজেও জানান মহেশের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তাঁরও ঝামেলা হয়েছে। কিন্তু সে সবই বিয়ের আগে। বিয়ের পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

১১ ১৮

মহেশের সুরাসক্তিও জটিলতা এনেছে সম্পর্কে। সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন সোনি। কিন্তু তিনি মহেশকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবেননি। মহেশও স্বীকার করেন,সোনির জন্য়েই তাঁদের দাম্পত্য স্থায়ী হয়েছে।

১২ ১৮

মহেশ-সোনির বড় মেয়ে শাহিনের তুলনায় ছোট মেয়ে আলিয়া বেশি সফল। মেয়েকে ঘিরে স্বজনপোষণ প্রসঙ্গে অভিযোগকারীদের দিকে আঙুল তুলতেও দ্বিধা করেননি সোনি। কঙ্গনা এবং তাঁর বোন রঙ্গোলিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক হাত নিয়েছেন তিনি।

১৩ ১৮

সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (এমস)-এর খুনের সম্ভাবনাকে খারিজ করে দেওয়া মেনে নিতে পারেননি কঙ্গনা রানাউত। যথারীতি তিনি ফের সরব সোশ্যাল মিডিয়ায়।

১৪ ১৮

সম্প্রতি কঙ্গনা টুইট করেন, ‘‘একদিন সকালে ঘুম ভাঙল, তার পর আচমকা নিজেদের মেরে ফেললেন, তরুণ এবং অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন মানুষদের ক্ষেত্রে এটা কখনও হতেই পারে না। সুশান্ত বলেছিলেন, তাঁকে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের শিকার হতে হয়েছে। প্রাণের আশঙ্কা ছিল। মুভি মাফিয়ারা তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। ধর্ষণের ভুয়ো অভিযোগে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন সুশান্ত।’’

১৫ ১৮

এর পরেই কঙ্গনাকে একহাত নিলেন মহেশ ভট্টের স্ত্রী অভিনেত্রী সোনি রাজদান। টুইটবার্তায় তিনি তোপ দেগেছেন কঙ্গনার বিরুদ্ধে। লিখেছেন, “যাঁরা বলছেন, মানুষ অকারণে সকালে ঘুম থেকে আত্মহত্যা করে না, তাঁদের জানিয়ে রাখি, তাঁরা সত্যিই তা করেন না। এটাই হল আসল কথা। এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁরা বহু বছর কষ্টে ভোগেন, সংগ্রাম চালান।”

১৬ ১৮

মানসিক অসুস্থতাকে খারাপ চোখে না দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন সোনি। লিখেছেন, “মানসিক অসুস্থতা নিয়ে ভয় বা লজ্জা পাওয়ার মতো কিছু নেই। এই অসুখকে ঠিক করে চিনে চিকিৎসা করলে প্রাণ বাঁচা যেতে পারে।”

১৭ ১৮

বড় মেয়ে শাহিনের মানসিক সমস্যা নিয়ে বিব্রত ছিলেন সোনি নিজেও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সোনি বলেন, “আমি তো মা। শাহিন বা আলিয়া— ওরা খারাপ থাকলে আমিও খারাপ থাকি। শাহিনকে নিয়ে একটা সময় গভীর দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কত রাত ঘুমতে পারিনি। ওর ডিপ্রেশন হয়েছিল। ও আসলে খুব একা বোধ করত। কিন্তু একাকিত্ব তো আমাদের সকলকেই কোথাও মেনে নিতে হয়…।’’

১৮ ১৮

নায়িকা হওয়ার দৌড়ে কোনওদিন থাকতে চাননি সোনি। দর্শক তাঁকে মনে রেখেছেন অন্যরকমের ‘অভিনেত্রী’ হিসেবেই। তাঁর দিনরাত এখন আবর্তিত হয় দুই সন্তানকে ঘিরেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement