আনন্দকে জীবনসঙ্গী পেয়ে এমনিতেই কানায় কানায় পূর্ণ ছিলেন অনিল-কন্যা। তার উপর পুত্রের আগমনে ঘরে এখন নিত্য উৎসব। ছবি: সংগৃহীত
লন্ডনের ভোর। দিন শুরুর টাটকা আলো এসে ঝকঝকে করে দিয়ে গিয়েছে পথঘাট। সেই পথেই ছেলেকে নিয়ে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছেন আনন্দ অহুজা। প্যারাম্বুলেটরে ছোট্ট বায়ু খিলখিলিয়ে হাসছে। সোয়েটারে জড়ানো তুলোর পুতুল হলে কী হবে, চার মাসেই রীতিমতো দাপুটে! বাবা তাকে নিয়ে ছুটে চলেছেন মাপা গতিতে। সাবধানে। পাশে সবুজ ঝোপ, ঘাসজমি দূরে দূরে সরে যাচ্ছে। সেই মধুর ছবির একঝলক ভাগ করে নিলেন শিল্পপতি আনন্দ।
সে দিকে তাকিয়ে গর্বে বুক ভরে ওঠে সোনম কপূরের। চোখের সামনে বেড়ে উঠছে বায়ু। আনন্দের সব সময়ের সঙ্গী এখন সে। সোনম মুগ্ধ হয়ে দেখেন, আর ভাবেন, এত সুখও তাঁর ভাগ্যে ছিল!
আনন্দকে জীবনসঙ্গী পেয়ে এমনিতেই কানায় কানায় পূর্ণ ছিলেন অনিল-কন্যা। তার উপর পুত্রের আগমনে ঘরে এখন নিত্য উৎসব। নতুন বছর আসছে সেই রেশ নিয়েই।
শুক্রবার যে ছবিটি পোস্ট করেছিলেন আনন্দ, তাতে তাঁর নিজের জুতো আর জ্যাকেটের খানিক অংশ দেখা যাচ্ছিল মাত্র। তাই আনন্দ লিখেছেন, “বছরের শেষ দিনে আমার প্রিয় একটি শু’ফি (জুতোর নিজস্বী), সেভ করে রাখলাম।” সঙ্গে লিখেছেন, “সিংহপিতার সিংহশাবক।” সেই ছবি ভাগ করে নিয়ে সোনম আবার জুড়েছেন, “হ্যাঁ, আমরা সিংহ পরিবার। বায়ুর গর্বিত বাবা-মা।” ওয়াল্ট ডিজ়নি পিকচার্সের বিখ্যাত অ্যানিমেশন ছবি ‘লায়ন কিং’-এর গল্প অনুসারে পুত্রকে পশুরাজপুত্র ‘সিম্বা’ বলেও ডাকেন তাঁরা আদর করে। সেই নামেরও উল্লেখ ছিল ছবিতে। অনুরাগীরা বলাবলি করছেন, “এর চেয়ে সুখী পরিবার আর দেখিনি।”
বেশ কয়েক বছর প্রেম করার পর ২০১৮ সালে চারহাত এক করেছিলেন সোনম আর আনন্দ। চলতি বছর অগস্ট মাসে জন্ম নিয়েছে তাঁদের পুত্র বায়ু। তিন জন মিলেই বড় পরিবার, বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি ভাগ করে নেন তাঁরা। বছরশেষেও রেখে দিলেন সুখস্মৃতি।