জানা গেল সোনমের ছেলের ডাকনাম
গ্রিক কিংবদন্তি বলে, আকাশ এবং ধরিত্রীর মিলনেই পৃথিবীর সৃষ্টি। মুম্বইয়ে নাতির মুখ দেখার সময় বিশেষ এক বিশেষ চিত্রকর্ম নিয়ে এসেছিলেন দাদু অনিল কপূর। যাতে ব্যবহৃত হয়েছিল সেই প্রাচীন রূপকল্পনা।
রবিবার সোনম কপূর এবং তাঁর স্বামী আনন্দ অহুজা জানালেন সেই ছবির মাহাত্ম্য। অপূর্ব নীল ছবিটি পোস্ট করে সোনম এক দীর্ঘ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেখানে লেখা, ‘এক দিকে আকাশের মতো দীঘল, শিকারি ঈগল, অন্য দিকে কোমল, সহিষ্ণু, সতর্ক ধরিত্রী মাতার রূপকে হরিণ। তারা দু’জনে মিলনের সর্বজনীন ধারণাকে প্রতিফলিত করছে। তাঁদের মাঝে অঙ্কুরিত ভ্রূণ, বিশ্বের স্পন্দন।’ সেই ছবি দিয়েই মুম্বইয়ের বাড়িতে নবজাতককে স্বাগত জানিয়েছে কপূর পরিবার।
সোনম সেই চিত্রকর্ম প্রসঙ্গে আরও লেখেন, ‘নব্যপ্রস্তর যুগের প্রারম্ভে, যখন পৃথিবী অনেক বেশি ঠান্ডা ছিল, ঘুরে বেড়াত শিংওয়ালা বড় হরিণের দল। উত্তরমেরুর কাছাকাছি বরফের দেশের মানুষ স্ত্রী হরিণকে পুজো করত। তাদের কাছে স্ত্রী হরিণ জন্মদাত্রী মায়ের মতো। উর্বরতা, মাতৃত্ব, পুনর্জন্ম এবং সূর্যের সঙ্গে সম্পর্কিত আধ্যাত্মিক ধারণা জড়িয়ে ছিল হরিণের সঙ্গে।’
জানা যায়, ছবিটি এই সময়ের এক চিত্রকর ঋতিকা মার্চেন্টের আঁকা। যা পোস্ট করে অনিল লিখেছিলেন, ‘সোনম এবং আনন্দ একটি সুস্থ পুত্রসন্তানের অভিভাবক হয়েছে। এ তো আশীর্বাদ।আমরা উচ্ছ্বসিত।’
শুক্রবার, ছেলে কোলে মুম্বইয়ের হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসেন সোনম। জমকালো অভ্যর্থনার মাধ্যমে তাঁদের স্বাগত জানানো হয়। গোটা পথ জুড়ে তখন নীল-হলুদ বেলুন, সাদা ফুলের মেলা। সেই সঙ্গে প্রকাশ্যে এসেছে সোনমের ছেলের ডাকনাম। সিম্বা।
‘লায়ন কিং’ ছবির পশু যুবরাজের নাম অনুসারেই নবজাতকের নাম। সিংহের মতো তেজস্বী, বলীয়ান হয়ে উঠুক নাতি, এমনটাই চান অনিল। যদিও সোনম এবং আনন্দ এখনও তাঁদের সন্তানের মুখ অথবা পোশাকি নাম কোনওটিই প্রকাশ্যে আনেননি।