(বাঁ দিকে) সলমন খান। সঙ্গীতা বিজলানি (ডান দিকে) । ছবি: সংগৃহীত।
সলমন খানের জীবন প্রেম এসেছে বহু বার। তবে বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য এক বারই প্রস্তুত হয়েছিলেন অভিনেতা। কেরিয়ারের শুরুর দিকে বলিপাড়ার এক নায়িকার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন সলমন। সেই অভিনেত্রী হলেন সঙ্গীতা বিজলানি। বিয়ের কার্ড পর্যন্ত ছাপা হয়ে যায় সলমন-সঙ্গীতার। তবে বিয়ের এক মাস আগে তা ভেঙে যায়। নেপথ্যে কারণ নাকি পরকীয়া। অন্য এক উঠতি অভিনেত্রীর সঙ্গে সলমনকে হাতেনাতে ধরেন সঙ্গীতা তা-ও আবার ফ্ল্যাটের বন্ধ ঘরে। তিনি হলেন সলমনের আর এক প্রাক্তন প্রেমিকা সোমি আলি। এত বছর পর হঠাৎ সে কথাই প্রকাশ্যে আনলেন সোমি।
সোমি আলি। ছবি: সংগৃহীত।
আট বছর সম্পর্কে থাকার পর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন সলমন-সঙ্গীতা। যেই সময় সঙ্গীতার কেরিয়ার নিভু নিভু। সলমন তখন সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে তরতর করে উঠছিলেন। সলমনকে বিয়ে করে সংসার করবেন এই ছিল সঙ্গীতার ইচ্ছা। তবে হঠাৎ সম্পর্কে ছন্দপতন। বিয়ে ভাঙে তাঁদের। বিয়ের এক মাস আগে সঙ্গীতা জানতে পারেন, তাঁদের সম্পর্কে তৃতীয় এক ব্যক্তি এসে পড়েছেন। পাকিস্তানি-আমেরিকান অভিনেত্রী সোমি আলির সঙ্গেও সম্পর্কে রয়েছেন সলমন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সোমি বলেন, ‘‘আমার ফ্ল্যাটে এসে পড়েন সঙ্গীতা। হাতেনাতে ধরেন সলমনকে। সঙ্গীতার সঙ্গে সলমন যা করে পরে আমার সঙ্গেও তাই করেছিল। তখন বুঝিনি। পরে ওই কর্মফল ভোগ করতে হয় আমাকেও।’’
সোমি জানান, সলমনের অভিনয় দেখে নাকি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শুধুমাত্র সলমনের জন্য বলিউডে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ফ্লোরিডা থেকে চলে আসেন মুম্বইয়ে। শুধু তাই নয়, সলমনকে মনে মনে বিয়ে করার পরিকল্পনাও করে ফেলেছিলেন সোমি। ১৯৯৪ সালের ২৭মে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সলমন এবং সঙ্গীতার। কিন্তু সোমির ব্যাপারে জানার পর এপ্রিল মাসেই বিয়ে ভেঙে দেন সঙ্গীতা। তার পর নাকি প্রায় আট বছর সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। বেশ কিছু হিন্দি ছবিতে কাজও করেছেন। সলমনের সঙ্গে বুলন্দ ছবিতে অভিনয় করেন সোমি। বেশ কিছু বছর পর নিজেকে বলিউড থেকে সরিয়ে নেন তিনি। আপাতত সমাজসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছেন প্রাক্তন এই অভিনেত্রী।