মা-বাবার ভালবাসা ভরা দাম্পত্য নাড়া দেয় সোহিনীকে।
অসুখের দিনগুলোয় মা-কে চোখে চোখে রাখতেন বাবা। কখনও নিজের হাতে ওষুধ-জল খাইয়ে দিচ্ছেন। কখনও বা চুল বেঁধে দিচ্ছেন পরম মমতায়। কখনও বা মায়ের অসুস্থতা বাড়লে ভয়ে-ভাবনায় কাঁটা। পর্দায় নয়, নান্দীকারের মঞ্চেও নয়। মা স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর সঙ্গে বাবা রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের এমন ভালবাসায় ভরা দাম্পত্য বাস্তবে চাক্ষুষ করেছেন মেয়ে সোহিনী সেনগুপ্ত।
এক বছর হতে চলল মা নেই। তাঁর শেষ দিনগুলো এখন বড্ড মনে পড়ে মেয়ের। মনে পড়ে বাবা-মায়ের ভালবাসার কথা, যত্নে বোনা দাম্পত্যের কথা। অসুস্থ স্বাতীলেখাকে নিজের হাতে কেমন করে সেবা করতেন রুদ্রপ্রসাদ, সে দিনগুলোকে নতুন করে ফিরে দেখলেন সোহিনী। সৌজন্যে নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘বেলাশুরু’।
পর্দায় স্বাতীলেখার সঙ্গে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দাম্পত্য কাহিনি সোহিনীকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে ফেলে আসা দিনগুলোয়। মায়ের কথা মনে পড়তেই মেয়ের চোখ ছলছল। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট হওয়া একটি ভিডিয়োয় সোহিনী বলছেন, ‘‘আমার মা যখন অসুস্থ ছিলেন, তাঁকে ঠিক এই ভাবেই যত্ন করেছেন বাবা। একদম এই ভাবেই। মা কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। তখন বাবা একেবারে এ ভাবেই খেয়াল রেখেছেন।’’
বলতে বলতে গলার কাছে দলা পাকানো কষ্ট। থেমে থেমে সোহিনী জানিয়েছেন, সম্পর্কের বাঁধন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-স্ত্রীর সেই চিরকালীন বন্ধনের গল্পই যে জড়িয়ে ‘বেলাশুরু’র পরতে পরতে। প্রযোজনা সংস্থা উইন্ডোজের পোস্ট করা ভিডিয়োয় তাকেই নিজের বাড়ির সঙ্গে এক সুতোয় গেঁথে ফেললেন সোহিনী।