‘বেলাশুরু’র একটি দৃশ্য।
যে পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৯৮৩ সালে, আজ তার শেষ হবে, এই কথা ভেবেই ‘বেলাশুরু’ দেখতে এসেছিলাম। কিন্তু শেষ হল কী? যে অদ্ভুত অভিনয়ের নিদর্শন রেখে গেলেন তাঁদের শেষ ছবিতে, তা সিনেমার ইতিহাসে চিরকাল রয়ে যাবে।
এই জুটির শুরু আমি দেখেছি আর আবার এক নতুন রূপে তাঁদেরকে দেখলাম। আমি মনে করি এই সময় দাঁড়িয়ে ‘বেলাশুরু’ সিনেমাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ছবি। তাঁর মূল কারণ যেমন সৌমিত্র-স্বাতীলেখা, ঠিক তেমনই এই ছবির বিষয়বস্তুও।
নন্দিতা এবং শিবপ্রসাদ দুজনে ভীষণ ভাল গল্পকার। তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই এবং তাঁদের ছবি দর্শক সব সময়ই গ্রহণ করেছেন। ছবিতে সৌমিত্রকাকু এবং স্বাতীদি ছাড়াও যারা
অভিনয় করেছেন তাঁরা প্রত্যেকেই গুণী অভিনেতা। তাঁদের অভিনয় নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। সবাই সবার চরিত্রে যথাযথ।
ছবির প্রতিটা বিভাগের কাজই ভীষণ যত্ন নিয়ে করা হয়েছে, তা ছবিটা দেখলেই বোঝা যায়। তবে ব্যক্তিগত ভাবে যে বিষয়টি আমার সবথেকে তৃপ্তিদায়ক বলে মনে হয়েছে, তা হল ছবির শেষ। যা এই ছবিটিকে একটা অন্য মাত্রা দিয়েছে।