পুটুপিসিই বিধায়ক পুতুল রানি?
ছোট পর্দার পুটুপিসি বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন! তাঁর এলাকায় তিনি পরিচিত দাপুটে 'পুতুল রানি বাগচী' হিসেবে। পুতুল রানির শাসনে প্রায় বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায়! রাজনীতিতে পুতুল এতটাই চৌখস যে দিব্যি পেডিকিওর করাতে করাতে সামলাচ্ছেন সমস্ত দায়িত্ব। ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’র ঘরোয়া ‘পুটুপিসি’ কবে বদলে গেলেন? সোমবার ভাগ করে নেওয়া একটি ঝলক বলছে, কেজো দিনেই বদলে গিয়েছেন ‘পুটুপিসি’ ওরফে সোহিনী সেনগুপ্ত। কাজের মানুষ হয়ে উঠেছেন রীতিমতো!
ঝুলিতে সাতটি ছবি। সাতরঙা রামধনুর মতোই সেখানে বর্ণময় চরিত্রে উপস্থিত সোহিনী। ‘পারমিতার এক দিন’ থেকে ‘ইচ্ছে’, ‘অলীক সুখ’, ‘বেলাশেষে’, ‘সাঁঝবাতি’ হয়ে ‘অভিযান’। কখনও তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী ‘খুকু’। কখনও তিনি এক সন্তানের অবুঝ মা। সেই সোহিনীই শৌভিক কুণ্ডু পরিচালিত আগামী ছবি ‘আয় খুকু আয়’ ছবিতে বিধায়ক। কেমন লেগেছে ‘পুতুল রানি’ হয়ে? আনন্দবাজার অনলাইনকে সোহিনীর জবাব, ‘‘খুব উপভোগ করে কাজটা করেছি। তথাকথিত খলনায়িকা। তার মধ্যেও যথেষ্ট কৌতুকরস রয়েছে। গতে বাঁধা চরিত্র নয়।’’ সোহিনীর দাবি, তিনি প্রচণ্ড ভাগ্যবান। ছোট এবং বড় পর্দা সব ক্ষেত্রেই নানা স্বাদের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। ভাল লাগছে তাঁরও।
ছবির ঝলকে, চুল উল্টে হাতখোঁপায় জড়ানো। কপালে বড় টিপ। শাড়ি, উত্তরীয়তে সেজে ওঠা ‘পুতুল রানি’ আরাম করে সোফায় বসে। হাতে জলের গ্লাস আর ওষুধ। এক দিকে তাঁর পদচর্চা হচ্ছে। অন্য দিকে, তিনি নিজের মনেই আওড়াচ্ছেন, ‘‘পরের বার নির্বাচনে হিংসা আরও বাড়বে।’’ শৌভিক কি কোনও মহিলা বিধায়ককে এ ভাবে পেডিকিওর করাতে করাতে দায়িত্ব সামলাতে দেখেছেন? পরিচালকের দাবি, সব চরিত্রই হয় বাস্তব নয় গল্প-উপন্যাসের পাতা থেকে উঠে আসে। ‘পুতুল রানি’ও তার ব্যতিক্রম নয়। ঝলক অনুযায়ী, ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘বুড়ি’র এলাকার বিধায়ক তিনি। পরিচালকের দাবি, সবটা জানিয়ে দিলে মুশকিল। বাকিটা তোলা থাক ২৭ মে প্রেক্ষাগৃহের জন্যে।