বলিউডের তারকাদের মধ্যে মতবিরোধ বিরল নয়। এমন বহু উদাহরণ আছে, যেখানে বিবাদের জেরে সম্পর্ক আর ভাল হয়নি। সেরকমই একটি টানাপড়েন ছিল জন আব্রাহাম আর অভিষেক কৃষ্ণার মধ্যে।
মডেলিং থেকে অভিনয়ে এসেছিলেন জন। তাঁর প্রথম ছবি ‘পাপ’। তবে মডেলিংয়ের মতো জনপ্রিয়তা তিনি অভিনয়ে কোনওদিন পাননি। অন্যদিকে কৃষ্ণা মূলত কৌতুকাভিনেতা।
২০১৬ সালে কৃষ্ণা একটি কমেডি শো সঞ্চালনা করতেন। এই শো-এ জন আব্রাহাম আর সোনাক্ষি এসেছিলেন তাঁদের ছবি ‘ফোর্স টু’-র প্রচারে। শোয়ের সূত্রপাত ভালই ছিল। কিন্তু সুর কাটল সময় এগোতেই।
কথায় কথায় জনের কেরিয়ারের প্রথম দিকের ছবিতে তাঁর অভিনয়ের সমালোচনা করেন কৃষ্ণা। সেটা মোটেও ভাল ভাবে নেননি জন। তাঁর কথায়, বক্স অফিসে সফল না হলেও কেরিয়ারের প্রথম দিকের ছবিগুলো তাঁর হৃদয়ের খুবই কাছের। কারণ সে সব ছবি থেকে তিনি অনেক কিছু শিখেছিলেন। নিজেকে গ্রুম করেছিলেন।
জন ভেবেছিলেন তাঁর আগামী ছবি ‘ফোর্স টু’ নিয়ে অনেক কিছু আলোচনা হবে। কথা হবে সোনাক্ষিকে নিয়েও। কিন্তু তার জায়গায় কৃষ্ণার পরিহাস তিনি নিতে পারেননি।
সঞ্চালক কৃষ্ণার কথায় বিরক্ত হয়ে শো-এর মাঝপথেই উঠে চলে যান জন। এমনকি, তাঁকে যখন সোনাক্ষির সঙ্গে নাচের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়, তখনও তিনি আসেননি।
জনকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টাও করেছিলেন কৃষ্ণা। কিন্তু জন ওই শোয়ে আর ফিরে আসেননি। দুঃখপ্রকাশ করে জনকে মেসেজও করেছিলেন কৃষ্ণা। কিন্তু জনের কাছ থেকে কোনও উত্তর পাননি। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি জনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু বরফ গলেনি।
প্রকাশ্যে এবং অন্যান্য বহু জায়গায় কৃষ্ণা জানিয়েছেন তিনি জনের কাছে ওই আচরণের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। কারণ জনই একমাত্র অভিনেতা যিনি কৃষ্ণার পিতৃবিয়োগে তাঁকে সমবেদনা জানিয়েছিলেন। তাই তাঁর সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে নিতে চান, বলে জানিয়েছিলেন এই কৌতুকাভিনেতা ও সঞ্চালক।
কিন্তু জন বলেছিলেন, তিনি এই প্রসঙ্গে কোনও কথা বলতে চান না। কারণ তা হলে এমন কাউকে গুরুত্ব দেওয়া হবে, যিনি অন্য কাউকে গুরুত্ব দেন না। প্রকারান্তরে জন বুঝিয়েই দেন, তিনি কৃষ্ণা অভিষেককে ক্ষমা করতে পারবেন না।
ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেক অভিনেতা আছেন, যাঁরা নিজেদের ব্যর্থতা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেন।আবার অনেকে জীবনের তিক্ত পর্ব রাখতে চান নিজেদের কাছেই। সে সব নিয়ে প্রকাশ্য আলোচনা চান না। জন সেই দলেই পড়েন।
বলিউডের অন্য ঝগড়ার মতো এটা নিয়েও ইন্ডাস্ট্রি দুই শিবিরে বিভক্ত। জনের ঘনিষ্ঠরা বলেন, কৃষ্ণা অভিষেকের কখনওই উচিত হয়নি একজন অভিনেতার ব্যর্থতার ক্ষততে আঘাত করার। আবার আর এক শিবিরের মত, রসিকতাকে অত গুরুত্ব না দিলেও পারতেন জন আব্রাহাম।