সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ১ লক্ষ টাকা প্রয়োজন ছিল স্মৃতির, বাবার থেকে ধার করেন সেই অর্থ, শর্তসাপেক্ষে। —ফাইল চিত্র
একতা কপূরের ধারাবাহিক ‘কিঁউ কি সাস ভি কভি বহু থি’ থেকে তাঁকে চিনেছিল দর্শক। ধীরে ধীরে পরিচিতি বৃদ্ধি পায়, সফল অভিনেত্রী হিসাবে মুম্বই শহরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন স্মৃতি ইরানি। তার পর এখন রাজনীতিতে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তিনি। জীবনের দীর্ঘ চড়াই-উতরাই ফিরে দেখেন যখন স্মৃতির মনে পড়ে যায় অপ্রিয় অতীতের কথা। খাবারের দোকানে বাসন মাজার কাজ করতেন স্মৃতি। প্রতি মাসে বেতন পেতেন পনেরোশো টাকা। তবে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর মুশকিলে পড়লেন।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ১ লক্ষ টাকা প্রয়োজন ছিল তাঁর। বাবার থেকে ধার করেন সেই অর্থ। তবে পান শর্তসাপেক্ষে। স্মৃতির কথায়, “বাবা একটা শর্তে টাকাটা দিয়েছিল। বলেছিল, সুদসমেত সেই টাকা তোমাকে ফেরত দিতে হবে। যদি না পারো, আমার পছন্দ করা ছেলেকে তোমার বিয়ে করতে হবে। আমি মেনে নিয়েছিলাম।”
স্মৃতি জানান, প্রতিযোগিতা থেকে পাওয়া অর্থে তিনি ষাট হাজার টাকা ফেরত দিতে পেরেছিলেন, বাকি টাকা শোধ করতে তাঁকে চাকরি নিতে হয়েছিল। বিজ্ঞাপনের কাজ করছিলেন বটে, কিন্তু স্থায়ী রোজগার দরকার ছিল। তখন ম্যাকডোনাল্ডস-এর আউটলেটে কাজে ঢোকেন তিনি। ধোয়ামোছার কাজ ছাড়া অন্য কাজ ওখানে ছিল না তখন। তিনি সেই কাজটাই নেন।
স্মৃতির কথায়, “তখন দুটো স্লটে কাজ ছিল। কর্তৃপক্ষ জানান, ঝাড়পোঁছ, বাসন মাজা— এ সবই করতে হবে। আমি রাজি হয়ে যাই। পনেরোশো টাকা বেতন ঠিক হয়। জানতে চেয়েছিলাম, এখানে পদন্নোতি কী ভাবে হয়। আমার কথা শুনে এক মহিলা বলেছিলেন, আগে এক মাস কাজ তো করো!”
স্মৃতি জানান, ছ’দিন কাজ করতেন সপ্তাহে। এক দিন ছুটি থাকত। সে দিন তিনি অডিশন দিতে যেতেন। অডিশন দিয়েই তিনি পেয়েছিলেন ‘তুলসী’ চরিত্রটি, সেখান থেকেই অভিনেত্রী হিসাবে তাঁর উড়ান শুরু হয়।