স্মৃতি তখন (বাঁ দিকে), স্মৃতি এখন (ডান দিকে)
হিন্দি ধারাবাহিকে কাল্ট হয়ে রয়েছে স্মৃতি ইরানি অভিনীত ধারাবাহিক ‘কিউকি সাস ভি কভি বহু থি’। ২০ বছর পার করল সেই ধারাবাহিক। প্রথম দিনের শুটের ছবি শেয়ার করে নস্টালজিক স্মৃতি ইরানি। অথচ শুনলে অবাক হবেন, তাঁর অভিনয় দেখে নাকি পরিচালক প্রথম দিন স্মৃতিকে বলেছিলেন, এই সিরিয়াল ফ্লপ হবে। জবাবে কী বলেছিলেন স্মৃতি?
তাঁর কথায়, ‘‘বছর কুড়ি আগে শুরু হয়েছিল এই জার্নি। এখনও মনে পড়ে, একতাকে ফোন করে শুটিং ফ্লোরে ডেকে পরিচালক বলেছিলেন, এই প্রজেক্ট ফ্লপ হবে। যে মেয়েটি তুলসীর চরিত্রে রয়েছে তার চরিত্রটা ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতাই নেই।আমি একতাকে একটা কথাই বলেছিলাম আমায় যে ভাবে চরিত্রটি করার কথা বলা হচ্ছে তার বদলে আমি কি নিজের মতো করে চরিত্রটি করতে পারি প্লিজ?’’
একতা শুনেছিলেন। আর স্মৃতিও জমিয়ে খেলেছিলেন ফ্লোরে। ৮ বছর ধরে, ১৮৩৩টা এপিসোড পার করা মুখের কথা নয়। জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিল সেই ধারাবাহিক। স্মৃতি ওরফে তুলসী রাতারাতি হয়ে গিয়েছিলেন মা-কাকিমার ঘরের মেয়ে। প্রযোজক একতা কপূরের কেরিয়ারেও ওই সিরিয়াল এনেছিল ঐতিহাসিক বদল। সে কথা মনে করেই একতা বললেন, ‘‘এখনও মনে আছে গুজরাতে যে বার ভূমিকম্প হল, মানুষ কিন্তু তখনও, অত অসুবিধের মধ্যেও সিরিয়ালটি দেখতেন।’’
‘কিউকি সাস ভি কভি বহু থি’-র এত সাফল্যের রসায়ন কী? সমালোচকদের মতে, স্মৃতি-মন্দিরার অনবদ্য অভিনয়, এবং একই সঙ্গে সিরিয়ালের নামটি। শাশুড়ি-বউয়ের বস্তাপচা ধারাবাহিকের ভিড়ে এ ছিল এক মুক্ত বাতাস। সত্যিই তো, শাশুড়িও যে একসময় বউমার ভূমিকা পালন করে এসেছেন...সে কথা প্রথম ফুটিয়ে তুলেছিলেন একতাই। জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল যে বিভিন্ন পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপনে ‘তুলসী’র মতো মেয়ে চাইতেন পাত্রপক্ষ।
স্মৃতির পোস্ট
A post shared by Smriti Irani (@smritiiraniofficial) on
তবে ২০০০ থেকে ২০০৮, আট বছর ধরে চলা এই ধারাবাহিকের শেষটা মধুর হয়নি। একতার সঙ্গে বিবাদে সিরিয়াল ছাড়েন স্মৃতি। তাঁর জায়গায় আসেন গৌতমী কপূর। কিন্তু দর্শক তাঁকে প্রত্যাখান করে। যে কাল্ট স্মৃতি স্থাপন করে দিয়ে গিয়েছিলেন সে জায়গায় অন্য কেউ জুতো গলাবে, মানতে চাননি দর্শক। হুড়মুড়িয়ে পড়তে থাকে শো-র টিআরপি। অবশেষে নানা আইনি জটিলতার মধ্যে ২০০৮-এর নভেম্বরে বন্ধ হয়ে যায় ‘কিউকি সাস ভি কভি বহু থি’।