মধুবন্তী বাগচি। ছবি: সংগৃহীত।
স্কুল-কলেজে হেনস্থার শিকার হয়েছেন। এক লম্বা পোস্টে দাবি করলেন গায়িকা মধুবন্তী বাগচি। ‘স্ত্রী ২’ ছবির গান ‘আজ কি রাত’ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেই সাফল্যই এখন উপভোগ করছেন তিনি। কিন্তু তার পাশাপাশি সমাজমাধ্যমে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদও জানাচ্ছেন গায়িকা। এর মধ্যেই নিজের জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন।
মধুবন্তী তাঁর পোস্টে লেখেন, “ছোটবেলা থেকেই খুব দুষ্টু ছিলাম। স্কুল-কলেজের বেশির ভাগ শিক্ষক ভালবাসতেন এবং কিছুটা প্রশ্রয়ও দিতেন। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক হেনস্থার কবলে আমাকেও পড়তে হয়েছে।”
প্রথমে স্কুলের একটি অভিজ্ঞতা জানান মধুবন্তী। তাঁর কথায়, “সাধারণ ভাবেই পিছনের দিকে বসে আমরা খুব অনুচ্চ স্বরে কথা বলছি। ছয়-সাত জন ছেলে এবং আমি একা মেয়ে। বলে রাখা ভাল, আমাদের ক্লাসে ৭০ জন ছেলে এবং আট-নয় জন মেয়ে পড়ত। আমাদের কথার আওয়াজে বিরক্ত হয়ে শিক্ষিকা আমাকে উঠে দাঁড়াতে বললেন এবং সবার সামনে প্রশ্ন করলেন, ‘ছেলেদের সঙ্গে বসতে খুব ভাল লাগে তাই না?’ এক জন মহিলা শিক্ষক হয়ে এক ছাত্রীকে ‘স্লাট শেমিং’ করলেন।”
শুধু তা-ই নয়, মধুবন্তীর অভিযোগ, এর পরে ওই শিক্ষিকা তাঁর বন্ধুদের আলাদা করে বলে দিয়েছিলেন, তারা যেন গায়িকার সঙ্গে না বসে। একই রকম অভিজ্ঞতা তাঁর কলকাতার অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও।
অভিযোগ, এক শিক্ষক মধুবন্তীকে বলেছিলেন, “তুমি কী নাচ-গান করো, আমার জানা আছে। এমন ‘মেয়েছেলে’ অনেক দেখা আছে।” প্রতিবাদ করতে গিয়ে গায়িকাকে শুনতে হয়, “শিক্ষকেরা একটু-আধটু এমন বলতেই পারেন। তুমি রেগে যেয়ো না।” এই ঘটনার সময়ে একটি বাংলা ছবিতে গান ফেলেছেন মধুবন্তী।
গায়িকা তাঁর পোস্টের শেষে বলেন, “এগুলো সহ্য করতেই শেখানো হয়েছে আমাদের। এখনকার ছাত্রছাত্রীদের বলব, আপনারা সহ্য করতে শিখবেন না। নিজের ছাড়াও সহপাঠী বা সহকর্মীর সঙ্গে অন্যায় হতে দেখলেও প্রতিবাদ করবেন। জীবন শুধু নিজের আখের গুছিয়ে কাটিয়ে দেওয়ার জন্য নয়।”