রবীন্দ্র সদনে কেকে-কে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।
রবীন্দ্র সদনে গান স্যালুট দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হল গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথকে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে ফুল দিয়ে গায়ককে শ্রদ্ধা জানান, মমতার পরেই গায়কের কফিনবন্দি দেহে মালা দেন তাঁর স্ত্রী জ্যোতি কৃষ্ণা এবং পুত্র নকুল কৃষ্ণা কুন্নাথ। ছিলেন পরিবারের আরও দুই সদস্য। শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পরই গান স্যালুট দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় শিল্পীকে।
বুধবার রবীন্দ্র সদনে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শিল্পীকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের আয়োজন করা হয়েছিল। দুপুরে বাঁকুড়া থেকে ফিরে মমতা জানিয়েছিলেন, বাংলায় রবীন্দ্র সদনেই প্রয়াত শিল্পীদের শ্রদ্ধা জানানো হবে। তাই প্রয়াত গায়ক কেকের মরদেহও এসএসকেএম থেকে রবীন্দ্র সদনেই আনা হবে। এর আগে বিমানবন্দরে কেকে-কে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার কথা জানিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু পরে তিনি জানান, তাঁর সঙ্গে এ ব্যাপারে পরিবারের কথা হয়েছে। তাঁদের মুম্বই ফেরার বিমানের সময় দেখেই শিল্পীর দেহ রবীন্দ্র সদনে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এসএসকেএমে ময়নাতদন্ত শেষ হলেই তাঁকে সেখান থেকে রবীন্দ্র সদনে নিয়ে আসা হবে। বিমানবন্দরে এই ঘোষণা করার পরই নিজেও রবীন্দ্র সদনে পৌঁছে যান মমতা। তাঁকে শিল্পীর জন্য রাখা ছবিতে নিজে হাতে ফুল দিয়ে সাজাতেও দেখা যায়। পরে কেকে-র দেহ রবীন্দ্র সদনে আনা হলে শিল্পীর স্ত্রী-র হাত ধরে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর হাত ধরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন জ্যোতি।
উল্লেখ্য, বুধবার রবীন্দ্র সদনে শিল্পীকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় মমতাকে। বুধবার সকালেই গায়ক কেকে-র ময়নাতদন্ত শুরু হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। দুপুরে মমতা জানান, যেহেতু বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তাই ‘ভাল ভাবে ময়নাতদন্ত করতে সময় লাগবে’। তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এসএসকেএম থেকে শিল্পীকে রবীন্দ্র সদনে আনার পর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেও শিল্পীর দেহ নিয়ে সময়েই মুম্বইয়ে ফিরতে পারবেন তাঁর স্ত্রী এবং পুত্র।