কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। ফাইল চিত্র।
এক সাক্ষাৎকারে গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, মঞ্চে অুনষ্ঠান করার সময় আপনি কী খেয়াল রাখেন? উত্তরে কেকে জানিয়েছিলেন, যখন তিনি কোনও অনুষ্ঠান করতে যান, গোটা মঞ্চ জল ঢেলে ভিজিয়ে দিতে বলেন। কেননা, মঞ্চে ধুলো উড়লে অনুষ্ঠান করতে তাঁর সমস্যা হয়।
কেকে আরও জানিয়েছিলেন যে, কোনও অনুষ্ঠান করতে গেলে মঞ্চে ওঠার আগে তিনি কিছু খান না। পেট হালকা রাখার জন্যই এই কৌশল অবলম্বন করতেন।
মঙ্গলবার কলকাতায় নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠানের সময় মাঝেমাঝেই ব্যাক স্টেজে গিয়ে ঘাম মুছতে দেখা গিয়েছিল কেকে-কে। স্পটলাইট নেভানোর জন্যও আয়োজকদের অনুরোধ করেন। জানিয়েছিলেন তাঁর অস্বস্তির কথাও। কিন্তু তার পরেও অনুষ্ঠান চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তালিকার শেষ গানের সময় অসুস্থ বোধ করেন। দরদর করে ঘামছিলেন। যে হোটেলে তিনি উঠেছিলেন সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। আরও অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানে বিপুল ভিড় হয়েছিল। দু’হাজার আসনসংখ্যার প্রেক্ষাগৃহে সাত হাজার লোক ছিলেন বলে অভিযোগ। কেকে-র অকালমৃত্যুতে প্রেক্ষাগৃহের বেলাগাম ভিড় বা পরিস্থিতি সামলাতে উদ্যোক্তাদের ব্যর্থতাই দায়ী কি না, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
একটি অসমর্থিত সূত্রের দাবি, ভিড় সামলাতে নজরুল মঞ্চের সাতটি দরজার মধ্যে পাঁচটিই খুলে দেওয়া হয়েছিল। ওই সূত্রের আরও দাবি, মঞ্চের সামনে ভিড় হটাতে একটা সময় সেখানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থেকে রাসায়নিক স্প্রে করা হয়েছিল। বস্তুত, ফেসবুকে কেকে-র অনুষ্ঠানের যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন অনেকে, তাতে এটা স্পষ্ট যে, অনুষ্ঠান মঞ্চের আশেপাশে খুব একটা শৃঙ্খলার বালাই ছিল না।