পেলেন লতার প্রশংসা, বেহালার বাঙালি মেয়ে এখন সবার নজরে

হিসেবটা বদলে গেল সোমবার দুপুরের পর থেকেই। অনেকের নজর এড়ালেও খোদ জায়গায়পৌঁছে গেল সমদীপ্তার গান। শুনে নিলেন লতা মঙ্গেশকর! শুধু শুনলেনই না, নিজের প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে তাঁর গান শেয়ার করে প্রাণ ভরে আশীর্বাদও করলেন সুরসম্রাজ্ঞী। এ সবের কিছুই জানতেন না সমদীপ্তা। অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ফো

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২০ ২১:০৫
Share:

লতার টুইটে বাক্যহারা সমদীপ্তা।

লতা মঙ্গেশকরের ছোট্ট একটা টুইট আর তাতেই রাতারাতি জীবন বদলে গিয়েছে বেহালার বাঙালি মেয়েটার। সমদীপ্তা মুখোপাধ্যায়। বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে হঠাৎ করেই মনে হয়েছিল একটু অন্য রকম কিছু করলে কেমন হয়? যেমন ভাবা তেমনই কাজ। মোৎজার্টের ৪০ নম্বর সিম্ফনি, জি মাইনরকে ভারতীয় সরগমে গেয়ে পোস্ট করে দিয়েছিলেন ফেসবুকে। তাতে লাইক, কমেন্ট তো এসেছিল ঠিকই। কিন্তু ভাইরাল হয়নি।

Advertisement

হিসেবটা বদলে গেল সোমবার দুপুরের পর থেকেই। অনেকের নজর এড়ালেও খোদ জায়গায়পৌঁছে গেল সমদীপ্তার গান। শুনে নিলেন লতা মঙ্গেশকর! শুধু শুনলেনই না, নিজের প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে তাঁর গান শেয়ার করে প্রাণ ভরে আশীর্বাদও করলেন সুরসম্রাজ্ঞী।

এ সবের কিছুই জানতেন না সমদীপ্তা। অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ফোনটাও ছিল অন্য ঘরে। হঠাৎ করেই ফিরে এসে দেখেন, তাতে হাজারও ফোন, মেসেজ, শুভেচ্ছাবার্তা। খুলে প্রথমটায় কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। যখন সম্বিত ফিরল তখন হাত-পা কাঁপছে তাঁর। চোখ ফেটে জল আসছে। এ-ও সম্ভব!যে মানুষটাকে ঈশ্বর ভেবে পুজো করে এসেছেন এত দিন, সে নিজেই শেয়ার করেছে তাঁর গান?

Advertisement

লতার টুইট

ছুট্টে গিয়ে বাবা-মা’কে খবরটা দিতেই কেঁদে ফেলেন মা। বাবা মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে বলেন, ‘‘এ বার থেকে ভাল গাওয়ার দায়িত্ব আরও অনেক বেড়ে গেল।’’ ততক্ষণে সমদীপ্তা ভাইরাল। ফেসবুক জুড়ে ঘুরছে তাঁর গান, সঙ্গে লতাজির টুইট। বেহালার মেয়েটা কেমন করে যেন চলে এসেছেন লাইমলাইটে। মিডিয়ার ফোন, বন্ধুদের ফোন, এ রকম আগে কোনওদিন হয়নি তাঁর সঙ্গে।

আজ তিনি অনেকটা ধাতস্থ। ফোন করতেই শান্ত গলায় বললেন, ‘‘আসলে প্রথমটায় ঠিক কী প্রতিক্রিয়া দেব সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। এমনি মোবাইলে শুট করে ভিডিয়োটা দিয়েছিলাম ফেসবুকে। এ রকম একটা উপহার যে অপেক্ষা করছে তা তো ভাবতেই পারিনি।’’

সঙ্গীত দিবসে গান না গেয়ে মোৎজার্টের সিম্ফনি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করার ইচ্ছে হল কেন? ‘‘বেশ কয়েক বছর আগে দেবজ্যোতি মিশ্রের একটা ওয়ার্কশপ অ্যাটেন্ড করেছিলাম। উনি বারবার বলতেন মোৎজার্ট শোন, বিটোফেন শোন... তো শুনতে শুনতেই এক দিন মনে হল এমনটা করলে কী রকম হয়? রেওয়াজে বসলাম, হয়ে গেল...’’, বলছিলেন তিনি।

প্রশংসা মিললেও ব্রেক মেলেনি এখনও। সমদীপ্তার ইচ্ছে সঙ্গীত নিয়ে অধ্যাপনা করবেন তিনি। সেইমতো পড়াশোনাও চলছে জোরকদমে। একই সঙ্গে চলছে সঙ্গীতের তালিম। চার বছর বয়সে জেঠুর কাছে যার শুরুটা হয়েছিল।

বেহালার বাড়িতে আজ একটুকরো বলিউড। স্বপ্ন সত্যি হয়েছে সমদীপ্তার...

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement