জুনায়েদের দাবি, তাঁর দাদা তাঁকে গানে কেরিয়ার তৈরির ব্যাপারে কোনও রকম সহযোগিতা করেননি। —ফাইল চিত্র
গায়ক আদনান সামি নিজের যে ভাবমূর্তি মানুষের সামনে রেখেছেন, তার কতটুকু সত্যি? বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তাঁরই অনুজ জুনায়েদ সামি। সমাজমাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোস্টে তিনি দাদার বিরুদ্ধে বিষ উগরে দিয়েছেন। সেই পোস্ট ঘুরছে সর্বত্র। আসলে আদনান কেমন মানুষ, জুনায়েদের লেখা পড়ে বদলে যেতে পারে ধারণা।
তিনি লিখেছেন, “আদনান সামি যে বলে বেড়ায়, ওর জন্ম ইংল্যান্ড বা অন্য কোনও দেশে, সে তথ্য একেবারেই ভুল। ওর জন্ম পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি হাসপাতালে, ১৫ অগস্ট, ১৯৬৯ সালে। আমিও একই হাসপাতালে জন্মেছি, ১৯৭৩ সালে।”
জুনায়েদ আরও জানান, আদনান ইংল্যান্ডে পড়তে গিয়ে পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। লাহোর থেকেই নাকি শেষমেশ ডিগ্রি নেন। জুনায়েদের দাবি, একটি নয়, একাধিক মিথ্যাচারে অভ্যস্ত আদনান। দ্বিতীয় স্ত্রীর আপত্তিকর এক ভিডিয়ো ফাঁস করার ব্যাপারেও নাকি হাত ছিল গায়কের।
জুনায়েদের দাবি, তাঁর দাদা তাঁকে গানে কেরিয়ার তৈরির ব্যাপারে কোনও রকম সহযোগিতা করেননি। তাঁর কথায়, “আদনান জানত, সঙ্গীতে আমারও প্রতিভা রয়েছে। অনেকেই বলেন, ওর থেকে আমার গলা ভাল। তাই চাইলেই আমায় সাহায্য করতে পারত, কিন্তু করেনি। হিংসুটের মতো আমায় ভারতে আত্মপ্রকাশ করতে দেয়নি। ও কি ভয় পেয়েছিল, যে আমি ওকে ছাপিয়ে যাব?’’
জুনায়েদের দাবি, একটি নয়, একাধিক মিথ্যাচারে অভ্যস্ত আদনান।
ক্ষোভ উগরে দিয়ে জুনায়েদ বলেন, “এই যে এখন আমি ঘরে বসে আছি, কিছু করছি না, এর জন্য দায়ী আদনান!”
আদনান ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন কারণ, এই দেশ তাঁকে পাকিস্তানের থেকে বেশি পারিশ্রমিক দেয়, এমনটিই জানান তাঁর ভাই। আরও লেখেন, তাঁদের মা ভারতীয় বলে যে কথা বলেন আদনান, তা-ও সম্পূর্ণ মিথ্যে। চুরির ঘটনায় ফেঁসে কানাডায় কারাবাস করতে হয়েছিল আদনানকে। বাবাকেও দিতে হয়েছিল ক্ষতিপূরণ — এমন নানা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল জুনায়েদের পোস্ট। তবে অনেকেই তাঁকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন। পরে সেই পোস্ট উড়িয়ে দেন জুনায়েদ।