সিমি গারেওয়াল।
টুইটারে ভেসে উঠল বার্তা, ‘ভারতীয় রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি থেকে কী শিখেছি? আমার বিধায়ক হওয়াই উচিত ছিল। কোটি কোটি টাকার বৃষ্টি...একর একর জমি...এ যেন এক স্বপ্নের জগৎ’,মহারাষ্ট্রের মহা-নাটক নিয়ে টুইটারে এমনটাই লিখলেন সিমি গারেওয়াল।
গত এক সপ্তাহ ধরেই একের পর এক নাটকীয় মোড় নিচ্ছিল মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। গত শনিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস। সবাইকে অবাক করে দিয়ে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন এনসিপি-র অজিত পওয়ার। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমীকরণই বদলে গিয়েছিল রাতারাতি। এনসিপি-র মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেছিলেন, পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন অজিত পওয়ার। কিন্তু পরের দিন আবার টুইটারে অজিত লেখেন, ‘‘আমি এনসিপি-তেই আছি এবং সব সময় এনসিপি-তেই থাকব।’’ তৈরি হয়েছিল নতুন বিভ্রান্তি।
গত সোমবার সকালে রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারীর সঙ্গে দেখা করতে রাজভবন পৌঁছেছিলেন শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস...এই তিন দলের প্রতিনিধিরা। মোট ১৬২ জন বিধায়কের সই-সমেত চিঠি জমা দেন তাঁরা। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাতারাতি সরকার গঠন করা অজিত পওয়ার এবং তাঁকে সমর্থন দেওয়া দুই বিধায়ক, আন্না বনসোদ এবং নরহরি ঝিরওয়াল ছাড়া ৫১ জন এনসিপি বিধায়কই ওই চিঠিতে সই করেছিলেন।
আরও পড়ুন-বিবাহবার্ষিকীর ঠিক আগেই প্রিয়ঙ্কা-নিকের সংসারে নতুন অতিথি!
দেখুন সিমির টুইট
রাতে মুম্বইয়ের পাঁচতারা হোটেলে ১৬২ জন বিধায়ককে হাজির করেছিল শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। ছিলেন এসপি-র দুই বিধায়কও। তাঁরা শপথ নিয়েছিলেন, কোনও প্রলোভনেপা দিয়ে বিজেপির সঙ্গে যাবেন না।
আরও পড়ুন-সইফকে প্রথমে বিয়েই করতে চাননি, নিজেই ফাঁস করলেন করিনা!
ঘটনাচক্রে ওই দিনই আবার এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৯টি সেচ-দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল রাজ্যের দুর্নীতিদমন শাখা (যদিও বাহিনীর ডিজি পরমবীর সিংহ পরে দাবি করেন, তদন্ত চালু রয়েছে)। রাজনৈতিক মহল বলেছিল, এটা আসলে বিজেপির সঙ্গী হওয়ার পুরস্কার।
সরকার গঠনকে কেন্দ্র করে এত নাটকের মধ্যেই সোমবার ওই টুইট করেন সিমি। তাঁর বক্তব্য সমর্থনও করেন নেটিজেনদের একাংশ। সিমির সুরে সুর মিলিয়েই তাঁরা স্বীকার করেন, এই রকম পরিস্থিতি ভারতীয় রাজনীতিতে বিরল।