জয়সলমেরের সূর্যগড় প্রাসাদে গিয়ে পৌঁছলেন সিদ্ধার্থ মলহোত্র। ফাইল চিত্র।
বিয়ের চূড়ান্ত কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। এ বার শুধু চার হাত এক হওয়ার অপেক্ষা। পাত্রী কিয়ারা আডবাণীর পরে এ বার জয়সলমেরে পৌঁছলেন পাত্র সিদ্ধার্থ মলহোত্র। সঙ্গে সিদ্ধার্থের পরিবার। পাত্রের চোখেমুখে কিঞ্চিৎ লজ্জা। বিয়ে করতে যাচ্ছেন যে! আলোকচিত্রীদের শুভেচ্ছাবার্তায় সাড়াও দিলেন বলিপাড়ার ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’।
পরনে কালো সোয়েটশার্ট, মাথায় টুপি আর পায়ে স্নিকার্স। রাজস্থানের যোধপুর বিমানবন্দরে নেমে হাসিমুখে বেরোলেন সিদ্ধার্থ। সঙ্গে সঙ্গে ‘শেরশাহ’ খ্যাত অভিনেতাকে ঘিরে ধরেন চিত্রগ্রাহকরা। বিয়ের শুভেচ্ছাবার্তা থেকে বিয়ে সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন। শব্দে তেমন উত্তর দেননি বটে, তবে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন, তাঁদের শুভেচ্ছাবার্তায় খুশি হয়েছেন তিনি। গাড়িতে উঠে জয়সলমেরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার সময় সবাইকে ধন্যবাদও জানালেন সিদ্ধার্থ। সামনে রাজস্থানি পাগড়ি পরিহিত গাড়িচালক। নিমেষের মধ্যে গাড়ি ছুটল জয়সলমেরের সূর্যগড় প্রাসাদের দিকে।
অন্য দিকে, শনিবার বিকেলের দিকেই যোধপুর বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় সিদ্ধার্থ মলহোত্রর পরিবার। বলিউড অভিনেতারা মা-বাবা, তুতো ভাই-বোনেরাও হাজির বিয়ের অনুষ্ঠানের শামিল হতে। বিয়ে নিয়ে কেমন উন্মাদনা? প্রশ্নের উত্তরে সিদ্ধার্থের মায়ের খোলামেলা মন্তব্য, ‘‘আমরা সবাই ভীষণ উত্তেজিত!’’ একই সুর সিডের বাবার গলাতেও। কিয়ারা যে এত দিনের সিদ্ধার্থের পরিবারের সবার সঙ্গেই বেশ ভাল ভাবে মিশে যেতে পেরেছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
শনিবার বেলার দিকেই জয়সলমেরে পৌঁছন কিয়ারা আডবাণী। সঙ্গে ছিলেন পোশাকশিল্পী মণীশ মলহোত্র। যোধপুর বিমানবন্দরে পৌঁছতেই হবু কনেকে বিয়ের শুভেচ্ছাবার্তা জানান আলোকচিত্রীরা। বিয়ের কথা এখনও স্বীকার না করলেও হাসিমুখে তাঁদের ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ বলতে ভোলেননি ‘কবীর সিংহ’ খ্যাত অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই সূর্যগড় প্রাসাদে গিয়ে পৌঁছেছেন কিয়ারার পরিবারের সদস্যরাও।