সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী ও দীপিকা পাড়ুকোন। ছবি: সংগৃহীত।
‘গেহেরিয়া’ ছবিতে এক প্রতারকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী। প্রেমিকাকে ঠকিয়ে তাঁরই তুতো বোনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে সিদ্ধান্তের চরিত্রটি। ২০২২-এর এই ছবি ঘিরে বেশ চর্চা শুরু হয়েছিল। তার অন্যতম কারণ, দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে সিদ্ধান্তের বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্য। বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীর সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করা কি খুব সহজ ছিল? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে কথা বললেন সিদ্ধান্ত।
ছবিতে অনন্যা পাণ্ডের প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সিদ্ধান্ত। কিন্তু প্রেমিকার তুতো বোন, দীপিকার সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ‘গেহেরিয়া’ ছবির এই দৃশ্যগুলিতে অভিনয় করতে গিয়ে নাকি বেগ পেতে হয়েছিল সিদ্ধান্তকে। দীপিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিং-এর আগে নাকি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তখন ছবির প্রযোজক কর্ণ জোহর আলাদা করে সিদ্ধান্তকে ডাকেন এবং কিছু পরামর্শ দেন। সিদ্ধান্ত বলেন, “কর্ণ আমায় ডেকে বললেন, ‘সমস্যাটা কোথায়?’ আমি তখন সবটা খুলে বললাম ওঁকে। কর্ণ তখন বললেন, ‘আরে, তুমি একজন পেশাদার অভিনেতা। তাই একজন পেশাদার অভিনেতার মতোই আচরণ করো। এটা তোমার কাজ’।”
এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বাবার থেকেও বিশেষ পরামর্শ পেয়েছিলেন সিদ্ধান্ত। তাঁর বাবা বলেছিলেন, “শোনো, ভারতে ৯৯ শতাংশ মানুষ এমন একটি সুযোগ পাওয়ার জন্য যা খুশি করতে পারেন। তাঁরা এক সেকেন্ডের জন্যও ভাববেন না। তুমি এত কী ভাবছ? একজন পুরুষ ও একজন পেশাদার অভিনেতা হিসেবে ভাব। এটাই তোমার কাজ।”
তবে আত্মীয়রা নাকি সিদ্ধান্তের এই ছবি খুব একটা ভাল ভাবে নেননি। সিদ্ধান্তের মামা নাকি ছবিটা দেখে বেশ লজ্জা পেয়েছিলেন। অভিনেতার কথায়, “আগে ছবিটা দেখুন এবং বুঝুন। কিন্তু এরা সকলে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে মাথা ঘামিয়েছে আর হাসাহাসি করেছে। কেউ কাজটা নিয়ে কিছু বলেননি।”