ইতিমধ্যেই সত্যজিৎ রায়ের ভূমিকায় জিতুকে দেখে মুগ্ধ শ্যাম বেনেগালের মত অভিজ্ঞ পরিচালক। যিনি সত্যজিতের ব্যক্তিগত বন্ধু এবং গুণমুগ্ধও বটে। শ্যাম জিতুকে অভিনেতাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘‘চলনে, বলনে, অভিনয়ে সেরা সত্যজিৎ। চালিয়ে যাও। অভিনয় ছেড়ো না।’’
সত্যজিতের ভূমিকায় জিতু কমল।
ভয় যা পাওয়ার শুরুতে পেয়ে নিয়েছেন। এখন জিতু কমল মেঘমুলুকে। আগে দুশ্চিন্তায় রাত জেগেছেন। সত্যজিৎ রায়কে গুলে খাওয়ার চেষ্টাও করেছেন। বাকিটা সবাই জানেন। অনীক দত্তের ছবি ‘অপরাজিত’-য় তিনি ‘সত্যজিৎ রায়’। কার্যত নামভূমিকায়।
২ মে, পরিচালকের ১০১তম জন্মদিনে ‘টিম অপরাজিত’ মুম্বই গিয়েছিল। মায়ানগরী সে দিন প্রথম জানল ‘পথের পাঁচালী’ ছবি তৈরির নেপথ্য কাহিনি। চাক্ষুষ করল ‘পর্দার সত্যজিৎ’ জিতুকে। আনন্দবাজার অনলাইন উপস্থিত সেই মাহেন্দ্রক্ষণে। নতুন করে কি হৃদপিন্ডে লাবডুব বেড়ে গিয়েছিল অভিনেতার? তখনই জিতু ভাঙলেন সব রহস্য। বললেন, চিরকালই ভয়ডর কম তাঁর। যা ভয় পাওয়ার পেয়ে নিয়েছেন। এখন ফল বেরোনোর সময়। দর্শক যা রায় দেবেন, মাথা পেতে নেবেন। ইতিমধ্যেই জিতুকে দেখে মুগ্ধ শ্যাম বেনেগালের মত অভিজ্ঞ পরিচালক। যিনি সত্যজিতের ব্যক্তিগত বন্ধু এবং গুণমুগ্ধও বটে। শ্যাম জিতুকে অভিনেতাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘‘চলনে, বলনে, অভিনয়ে সেরা সত্যজিৎ। চালিয়ে যাও। অভিনয় ছেড়ো না।’’
আপ্লুত জিতুও। অভিভূত এত বড় মাপের পরিচালকের মুখ থেকে ভুয়সী প্রশংসা শুনে। যা এত দিন বাংলায় অভিনয় করেও তিনি পাননি! কিন্তু এই মে মাস জুড়ে তো বাংলা ছবির মেলা। তার মধ্যে ‘অপরাজিত’ হারিয়ে যাবে না তো?
সত্যজিতের চরিত্রে অভিনেতার দাবি, ‘‘দোকানে হরেক রকমের খাবার সাজানো থাকে। ভোজনবিলাসী জানেন, কোনটা সেরা। সেটাই বেছে নেন।’’ আগামী ১৩ মে, শুক্রবার বাংলায় নতুন করে জন্ম নেবেন ‘অপরাজিত’ সত্যজিৎ। তার পাঁচ দিন আগে থেকেই টিকিট কাটার আগাম সুযোগ পাবেন আগ্রহী দর্শকেরা।