রাজা চৌধুরী (বাঁ দিকে), কন্যা পলকের সঙ্গে শ্বেতা তিওয়ারি (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বয়সকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে বিভিন্ন প্রজন্মের অনুরাগীর হৃদয়ে বিরাজ করছেন অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি। তাঁর জীবন চর্চায় উঠে আসে বার বার। তবে কন্যা পলক তিওয়ারিও কম যান না। অল্প সময়ের মধ্যে তিনিও এখন জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন পর্দায়।
শ্বেতা এবং রাজা চৌধুরীর কন্যা পলককে সদ্য দেখা গিয়েছে সলমন খান অভিনীত ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবিতে। বহু দিন আলাদা হয়ে গিয়েছেন শ্বেতা আর তাঁর প্রাক্তন স্বামী রাজা। সম্পর্কে এসেছে নানা ওঠাপড়া। তবে রাজা সম্প্রতি প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন শ্বেতাকে। মেয়েকে সুন্দর ভাবে বড় করার কৃতিত্ব শ্বেতাকেই দিয়েছেন তিনি। কথা বললেন কন্যা পলকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও।
১৯৯৮ সালে শ্বেতার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন রাজা। ২০০০ সালে পলকের জন্ম হয়। ২০০৭ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। গার্হস্থ্য হিংসায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন রাজা। মেয়েকে একা বড় করেছেন শ্বেতাই।
পলকের সঙ্গে রাজার সম্পর্ক সহজ, স্বাভাবিক। শ্বেতার সঙ্গে বিচ্ছেদের বহু দিন পর রাজা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “পলকের সঙ্গে হোয়াট্সঅ্যাপে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। আমি রোজ সকালে ওকে সুপ্রভাত জানাতাম। দেখাসাক্ষাৎ অবশ্য হত না। আমি মেরঠে মা-বাবার সঙ্গে থাকতাম। তবে মুম্বইয়ে এক বার কাজে গিয়েছিলাম, পলককে ডেকেছিলাম তখন।”
তিনি জানান, অন্ধেরির এক হোটেলে দেড় ঘণ্টার জন্য দেখা করেছিলেন তাঁরা। বহু বছর পর দেখা হলেও বাবা-মেয়ের কথোপকথনে অতীতের কথা উঠে আসেনি। ছিল না কোনও তিক্ততাও। রাজা নিজের পরিবারের গল্প শুনিয়েছেন মেয়েকে। বলেছেন পলকের দাদু-ঠাকুরমা এবং জ্যাঠা-জেঠির কথা।
রাজা বলেন, “সবার কথা শুনতে শুনতে রোমাঞ্চিত হচ্চিল পলক। বলেছিল, খুব তাড়াতাড়ি আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসবে।”
বাবা-মেয়ে দু’জনের জন্যই এটা জীবনের নতুন এক পর্ব। তাঁর কথায়, “জীবন আমাকে পলকের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিকঠাক করে নেওয়ার দ্বিতীয় সুযোগ দিয়েছে। আমিও চেষ্টা করছি। পলকের প্রতি আমার ভালবাসার কোনও পরিবর্তন হয়নি এত বছরে। অনেকগুলো বছর ওর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি ছিল না আমার।”
পলকের বেড়ে ওঠার সময়টায় কাছে না থাকতে পারার যন্ত্রণা যদিও বুকে বাজে রাজার। জানান, পলকের স্কুলজীবনটা কিছুই দেখা হল না, আফসোস রয়ে গেল।
তবে আক্ষেপ নেই খুব তাঁর। রাজা বলেন, “এখন ওর সঙ্গে দেখা হলে বুঝি, আমার মেয়ে পলক খুব ভাল মানুষ হয়ে উঠেছে। সে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমার প্রাক্তন স্ত্রী শ্বেতা তিওয়ারিকে ধন্যবাদ দেব এর জন্য। আমি আজ সত্যিই সুখী।”