শ্বেতা এবং রোহিত।
২০১৮-র ডিসেম্বরে দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং পরিচালক রোহিত মিত্তলকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ। কিন্তু এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। সোমবার নিজের ইনস্টা স্টোরিতে শ্বেতা লেখেন, ‘রোহিত এবং আমি দু’জনেই যৌথ ভাবে সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু সমস্যা হচ্ছিল। সে জন্যই এই সিদ্ধান্ত।’
পোস্টে রোহিত কে ধন্যবাদ জানিয়ে ‘মাকড়ি’ ছবির নায়িকা লেখেন, ‘ধন্যবাদ রোহিত, সব সময় আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। আগামী দিনগুলোর জন্য শুভকামনা। ইতি তোমার চিয়ারলিডার।’
শ্বেতা এবং রোহিতের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। গত বছর পুণেতে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। রোহিত মারোয়ারি আর শ্বেতা বাঙালি। তাই মারোয়ারি এবং বাঙালি এই দুই রীতিতেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল। জাঁকজমকের কোনও খামতি ছিল না। যোগ দিয়েছিলেন বলিউডের অনেক চেনা মুখও। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁদের এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ অনুরাগীদের।
আরও পড়ুন- ‘মধুচক্রে জড়িত’ থাকার কলঙ্ক থেকে ফের আলোর ছন্দে এই জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী
দেখুন শ্বেতার ইনস্টাগ্রাম পোস্ট
A post shared by Shweta Basu Prasad (@shwetabasuprasad11) on
২০০২-এ ‘মাকড়ি’ ছবির মধ্যে দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন শ্বেতা। সেই ছবিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন শিশুশিল্পী হিসেবে। ওই ছবি তাঁকে এনে দেয় জাতীয় পুরস্কারও। এ ছাড়াও ‘কাহানি ঘর ঘর কি’, ‘কুটুম্ব’-সহ নানা ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তিনি। এরই মধ্যে হঠাৎই সুর কেটে যায় ২০১৪ সালে। এক বার তাঁর নামে অভিযোগ উঠেছিল মধুচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার। ২০১৪-এর সেপ্টেম্বরের গোড়ায় হায়দরাবাদের একটি হোটেল থেকে যৌন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে শ্বেতাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সে সময় সংবাদমাধ্যমে হায়দরাবাদ পুলিশের তরফেই শ্বেতার একটি বিবৃতি পাওয়া গিয়েছিল। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছিল যে, অভাবে পড়েই যৌনপেশায় জড়িয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। পরবর্তীকালে হায়দরাবাদের আদালত শ্বেতাকে ক্লিন চিট দেওয়ার পরক্ষণেই সংবাদমাধ্যমকে খোলা চিঠি লিখেছিলেন শ্বেতা বসু প্রসাদ। চিঠিতে তিনি দাবি করেছিলেন, ধরা পড়ার পরে তাঁর যে ‘স্বীকারোক্তি’র কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল, তার আদ্যোপান্ত ভুয়ো।
আরও পড়ুন- নওয়াজের বাড়িতে শোকের ছায়া, ২৬ বছরেই মারা গেলেন ছোট বোন