সরিতা-শ্রীকান্ত
বাস্তব মাঝে মাঝে সিনেমাকেও ছাপিয়ে যায়। হয়তো বাস্তবকে আধার করেই সিনেমা হয় বলে! টলিউডের প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ-এর অন্যতম কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতার জীবনও তার ব্যতিক্রম নয়। বেশি দিন হয়নি তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল স্ত্রী সরিতার। কিন্তু গত ২৪ জানুয়ারি শ্রীকান্তকে সিবিআই গ্রেফতার করার পরেই পরিস্থিতি বদলে যায়। সব তিক্ততা ভুলে নাকি শ্রীকান্তর পাশে দাঁড়ান সরিতা। সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভুবনেশ্বরে জেল হেফাজতে রেখেছে প্রযোজককে। স্বামীর দেখভালের জন্য নাকি সেখানে পৌঁছে যান তাঁর প্রাক্তন সুন্দরী স্ত্রী। কারণ শ্রীকান্তের শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। খবর বলছে, সরিতা সেখানে ফ্ল্যাট নিয়ে থাকছেনও।
২০১৭ সাল থেকে শ্রীকান্ত-সরিতার সম্পর্কে তিক্ততা আসে। শোনা যায়, এক নায়িকার সঙ্গে শ্রীকান্তের ঘনিষ্ঠতার কারণেই তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। সরিতা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়েও আসেন। সে বছরের শেষের দিকে তাঁরা ডিভোর্স ফাইল করেন। আইনি বিচ্ছেদ নিয়ে শ্রীকান্ত বা সরিতা প্রকাশ্যে কোনও দিন মন্তব্য করেননি। তবে এই পরিস্থিতির আঁচ যাতে দুই ছেলের উপরে না পড়ে, তার জন্য তাঁদের বাইরে পড়তে পাঠিয়ে দেন। এত কিছুর মধ্যে ওই নায়িকার সঙ্গে প্রযোজকের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ২০১৮-র শেষের দিকে নায়িকা-প্রযোজকের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সেই নায়িকা পরে বিয়েও করে ফেলেন এক ব্যবসায়ীকে। তার পর থেকেই নাকি শ্রীকান্ত-সরিতার মাঝের বরফও গলতে শুরু করে। বলা যায়, এই পরিস্থিতিতে শ্রীকান্তের গ্রেফতারি অনুঘটকের কাজ করে। গত ন’মাসে তাঁরা আবার কাছাকাছি এসেছেন।
প্রযোজকের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই শ্রীকান্তের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। নিজেদের দূরত্ব মিটিয়ে সরিতা নাকি তখন থেকেই স্বামীর পাশে দাঁড়ান। জেলে নিয়মিত দেখা করতে যেতেন তিনি। অসুস্থ হয়ে শ্রীকান্ত হাসপাতালে ভর্তি হলে তাঁর দেখভালও করেন সরিতা।
রোজ়ভ্যালির সঙ্গে এসভিএফ-এর চুক্তি ও টাকার লেনদেন সংক্রান্ত গরমিলের কারণেই সিবিআই শ্রীকান্তকে গ্রেফতার করে। তিনি অবশ্য কবে জামিন পাবেন, তার ঠিক নেই। তাই শ্রীকান্তের ঘরে ফেরা এখনও অনিশ্চিত। তবে প্রযোজকের ঘনিষ্ঠদের মতে, সরিতার ঘর ওয়াপসি কিন্তু হয়ে গিয়েছে।