কড়া সতর্কতা ফিরিয়ে এনে শ্যুটিং চলবে। ফাইল চিত্র।
করোনা ছড়াচ্ছে ঝড়ের গতিতে। লাগাম টানতে আংশিক লকডাউনের পথে রাজ্য সরকার। গত বছরের মতোই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে রেস্তরাঁ, শপিং মল, প্রেক্ষাগৃহ, জিম, সাঁতারের ক্লাব। আগের মতোই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা থাকবে বাজার, দোকান। টলিউডেও করোনার বাড়বাড়ন্ত। সেখানেও কি আংশিক লকডাউন চালু হতে চলেছে?
জানতে আনন্দবাজার যোগাযোগ করেছিল ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার তিনি সংগঠনের কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই ঠিক হয়, কড়া সতর্কতা ফিরিয়ে এনে শ্যুটিং চলবে। শুক্রবার তিনি মুখোমুখি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এবং প্রযোজকদের। সকলে মিলে কী সিদ্ধান্ত নিলেন? স্বরূপ জানিয়েছেন, ‘‘খুব ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি না হলে এক্ষুণি ফেডারেশন এই পথে হাঁটবে না।’’ পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, সরকার সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করলে ফেডারেশন তখন সেই পথেই হাঁটবে। যদিও সভাপতির কথায়, বহু কর্মী দিন হিসেবে পারিশ্রমিক পান। লকডাউন মানেই তাঁদের সংসার অচল। সবার কথা মাথায় রেখে তাই আগের নিয়মগুলিই ফের কড়া ভাবে চালু হতে চলেছে ৩ মে থেকে।
কী কী নিয়ম মানা হবে? তাপমাত্রা মাপা, ফ্লোর, সাজঘর স্যানিটাইজ করা, হাত স্যানিটাইজ করা, মাস্ক এবং ফেসশিল্ড পরে থাকা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ফের বাধ্যতামূলক হতে চলেছে সমস্ত স্টুডিয়ো ফ্লোরে। স্বরূপ স্বীকার করে নেন, মাঝে এই বিধিনিষেধে সামান্য হলেও ঢিলেমি দেখা গিয়েছিল। বাড়তি ২টো নতুন নিয়ম এ বার থাকছে। টিকাকরণ এবং র্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। যাতে কোনও ভাবেই সংক্রমণ আর না ছড়াতে পারে। একই সঙ্গে কেউ অসুস্থ থাকলে সেটিও জানা যাবে র্যাপিড টেস্ট থেকে। আর্টিস্ট ফোরামের সঙ্গে বৈঠক সম্বন্ধে সভাপতির দাবি, সংগঠন যদি আলাদা ভাবে ফেডারেশনের সঙ্গে বসতে চায় তাহলে ফেডারেশনের কোনও আপত্তি নেই।
ফোরামের পক্ষ থেকে শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য দফতর এবং রাজ্য সরকার ঘোষিত নির্দেশাবলী দেখেই আগামী দিনে সিদ্ধান্ত নেবে ফোরাম। তবে ফোরাম ইতিমধ্যেই চ্যানেল, প্রযোজক, ইম্পার কাছে চিঠি পাঠিয়ে করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়মনীতি মেনে কাজের অনুরোধ জানিয়েছে। পাশাপাশি, শিল্পীদেরও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে। অভিনেতা, কলাকুশলীদের মুখ চেয়ে ফেডারেশনের মতোই এখনই লকডাউনের পথে হাঁটতে রাজি নয় শিল্পীদের এই সংগঠনও।