Karanvir Bohra

‘ঝগড়ার ফলে শুটিং বন্ধ হয়ে যেত’

ওয়েব সিরিজ়ে সদ্য ডেবিউ করা কর্ণবীর বোহরা তুলকালাম বাধাতেন সেটেসিরিজ়ে তাঁর বিপরীতে দেখা যাবে মন্দনা কারিমিকে। নায়িকার সঙ্গে সেটে প্রায়ই এমন তুলকালাম বেধে যেত তাঁর যে, মাঝে মাঝে শুট বন্ধও করে দিতে হত।

Advertisement

সায়নী ঘটক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২০ ০০:২৫
Share:

কর্ণবীর

ওয়েবে পরপর ডেবিউ করছেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখেরা। ‘দ্য ক্যাসিনো’ যেমন ডিজিটালে কর্ণবীর বোহরার প্রথম কাজ। ‘‘অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম শুরু করি, অনেক গল্প শুনছিলাম, কিন্তু কোনওটাই মনে ধরছিল না। শেষে ভিকির চরিত্রটা (সিরিজ়ে তাঁর চরিত্র) ভাল লাগে। বাবার পরে সে-ই ক্যাসিনোর মালিক, অথচ ক্যাসিনোটাই চালাতে চায় না! ভিকি নানা ভাবে ম্যানিপুলেটেডও হয়। তাঁর টানাপড়েন পুরো শো জুড়েই রয়েছে। গল্পটা প্রথম বার শুনেই ‘হ্যাঁ’ বলে দিয়েছিলাম,’’ বললেন কর্ণবীর।

Advertisement

সিরিজ়ে তাঁর বিপরীতে দেখা যাবে মন্দনা কারিমিকে। নায়িকার সঙ্গে সেটে প্রায়ই এমন তুলকালাম বেধে যেত তাঁর যে, মাঝে মাঝে শুট বন্ধও করে দিতে হত। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিনেতার জবাব, ‘‘কোনও ব্যক্তিগত ঝগড়া নয়, বেশির ভাগ সময়েই শট দেওয়ার সময়ে মতের অমিল তৈরি হত। ও প্রতিটা সংলাপ আগাগোড়া মুখস্থ করে আসত। আমি আবার শট চলাকালীন ইম্প্রোভাইজ় করতাম, তা নিয়ে ও রাগারাগি করত। মন্দনার অভিযোগ, শট চলাকালীন আমি নাকি ওকে কিউ দিই না! আমিও পাল্টা যুক্তি দিতাম... এই চলত! ঝগড়ার পরের ১৫-২০ মিনিট যে যার মতো থাকতাম, ঠান্ডা হওয়ার পরে ফের কাজ শুরু হত।’’

‘দ্য ক্যাসিনো’র আউটডোর নেপালে শুট হয়েছে। ‘‘পোখারা এবং কাঠমান্ডু দুটো জায়গাই দুর্দান্ত। ওখানকার বাড়ি, পশুপতিনাথ ও অন্যান্য মন্দিরের স্থাপত্য অবাক করেছিল আমাদের। আমার দুই মেয়ে আর স্ত্রীকেও নিয়ে গিয়েছিলাম আউটডোরে। ওখানে শুট চলাকালীনই একদিন শুনলাম, করোনা ভারতেও ঢুকে পড়েছে! পত্রপাঠ শুটিং শেষ করে মুম্বইয়ে ফেরার ফ্লাইট ধরেছিলাম সকলে,’’ মনে করলেন কর্ণবীর। তার পর থেকেই লকডাউনে দুই মেয়ের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটাচ্ছেন অভিনেতা। তাঁর যমজ মেয়ে বেলা আর ভিয়েনা এখন ইনস্টাগ্রাম-স্টার। তাদের নামে রয়েছে আলাদা পেজও! ‘‘লকডাউন কী, ওরা বোঝেনি। কেন সারা দিন চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি থাকতে হচ্ছে— সেটাও বোঝাতে পারিনি। বাবা-মায়েদের বলতে চাই, ধৈর্য হারিয়ে সন্তানদের বেশি বকাবকি করবেন না। লকডাউনে ওদের সঙ্গে সময় কাটানোর যে সুযোগ আমি পেয়েছি, তেমনটা আর কোনও দিন পাব না। আলাদা বন্ড তৈরি হয়ে গিয়েছে ওদের সঙ্গে। এখন তো জিমও বন্ধ, ওদের সঙ্গে নিয়েই যোগব্যায়াম করি বাড়িতে,’’ বললেন কর্ণ। লকডাউনের শুরুতে পরিযায়ী শ্রমিকদেরও যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন কর্ণবীর ও তাঁর পরিবার। নিয়মিত রান্না করে বহু পথচলতি শ্রমিকের দৈনন্দিন খাবারের বন্দোবস্ত করতেন অভিনেতার মা-বাবা।

Advertisement

আরও পড়ুন: এই টিকটক স্টাররা কত আয় করেন, জানলে চমকে যাবেন

‘শরারত’, ‘কসৌটি জ়িন্দেগি কে’, ‘সৌভাগ্যবতী ভব’, ‘কবুল হ্যায়’, ‘নাগিন’-এর মতো জনপ্রিয় শোয়ে কাজ করার পরে এ বার ওয়েবে মন দিতে চান কর্ণবীর। জানালেন, এ মাসেই তাঁর আরও একটি ওয়েব শোয়ের ঘোষণা হতে চলেছে। ‘‘টেলিভিশনের দর্শকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সব কিছু ঝকঝকে, দাগহীন— এমন কনটেন্ট দেখানো হয়। খুব ডার্ক কোনও কিছু চট করে দেখানো হয় না। সেখানে ওয়েব শো অনেক বাস্তবসম্মত, সিনেম্যাটিক্যালি শুট করা হয়। ওয়েবের লাক্সারি টেলিভিশনে নেই,’’ মত অভিনেতার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement