‘ফেলু বক্সী’র শুটিংয়ে সোহম চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র।
শহর জুড়ে জামাইষষ্ঠীর উদ্যাপন। সাধারণ থেকে অসাধারণ— সবাই এই একটি দিন সাধারণত ঢিলেঢালা মেজাজে থাকেন। অফিস-কাছারিতেও ‘ছুটি’র মেজাজ। এমন দিনে বিধায়ক-অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী গুন্ডাদমনে ব্যস্ত! সকাল সকাল তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন উত্তর কলকাতার বাগবাজারে। খবর পেয়েই লোকেশনে উপস্থিত আনন্দবাজার অনলাইন।
সোহম তখন গুন্ডার পিছু ধাওয়া করে ছুটছেন! অভিনেতার পরনে আকাশি শার্ট, কালো জিন্স, রিমলেস চশমা। গুন্ডার সাজপোশাকও চমকে দেওয়ার মতো। হাতাকাটা লাল গেঞ্জি, কালো জিন্স। পায়ে স্নিকার। মাথার চুল পাঙ্ক স্টাইলে কেটে পনিটেল বাঁধা। সারা গায়ে ট্যাটু। সুগঠিত পেশি বলে দিচ্ছে, সে-ও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। গলিতে লোকজনের যাতায়াত কম। ফলে, গুন্ডা আর বিধায়কের পাল্লা দিয়ে দৌড়নোর দৃশ্য অনেকেই দেখতে পাননি।
আসল ঘটনা কী? উপরে বলা প্রত্যেকটি ঘটনা সোহম ঘটিয়েছেন। সৌজন্যে দেবরাজ সিংহের নতুন ছবি ‘ফেলু বক্সী’। বুধবার তারই শুটিং বাগবাজারের গোপীমোহন দত্ত লেনে। সকাল থেকে সাজ সাজ রব। রাস্তার মুখ থেকে লাইন দিয়ে ইউনিটের গাড়ি। গলিতে মেকআপ ভ্যান। গলি জুড়ে ক্যামেরা আর ইউনিটের লোক ছড়়িয়ে-ছিটিয়ে। আনন্দবাজার অনলাইন যখন ঘটনাস্থলে, তখন ছবির নায়ক রূপটানে ব্যস্ত। তার আগে একপ্রস্থ শুটিং হয়ে গিয়েছে। সরু গলিতে সূর্যের প্রবেশ নিষেধ। কিন্তু বাতাসে রোদের ঝাঁঝ প্রচণ্ড। ফলে, কয়েকটা টেকের পরেই দরদর করে ঘামছেন সোহম। তাঁকে বার বার রূপটানের তুলি বুলিয়ে নিতে হচ্ছে সারা মুখে। কিছু ক্ষণের অপেক্ষা। তার পরেই তিনি ফের ক্যামেরার সামনে। তাঁর সামনে টাকার ব্যাগ হাতে গুন্ডা এসে দাঁড়াবে। ছোট্ট সংলাপ বিনিময়। তার পরেই সে ছুটে পালাবে। তাকে ধাওয়া করবেন অভিনেতা। শট বুঝিয়ে দিয়ে দেবরাজ ক্যামেরার পিছনে। লুক থ্রু করে দেখে নিলেন সবটা। অ্যাকশন বলতেই প্রথমে দু’জন মুখোমুখি। তার পর দে দৌড়।
দেবরাজের এই ছবি প্রথম থেকেই চর্চিত। ছবিতে সোহমের বিপরীতে মধুমিতা সরকার। অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমণি। দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনায় পরী এর আগেও অভিনয় করেছেন। কিন্তু কলকাতায় এসে ভারতীয় প্রযোজনায় তাঁর অভিনয় এই প্রথম। এর আগে ছেলে পদ্মকে নিয়ে টানা কিছু দিন তিনি শুটিং করে গিয়েছেন। সারা শহরে ছবির শুটিং চলছে। খবর, বুধবার বিকেলের দিকে সম্ভবত মধুমিতা শুটিংয়ে যোগ দেবেন।