প্র: সারা দেশে এখন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এই অবস্থার মধ্যে শুটিং চালিয়ে যেতে হচ্ছে...
উ: খুবই কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। শুটিং করতেও অনেক বেশি সময় লাগছে। ক্যামেরা বন্ধ হলেই মাস্ক আর ফেস শিল্ড পরে নিতে হচ্ছে। ‘সুপার ডান্সার চ্যাপ্টার থ্রি’ যেহেতু বাচ্চাদের শো, তাই খুব নিয়ম মেনে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। তা ছাড়া, আমাদেরও পরিবার রয়েছে।
প্র: আপনি নিজেও দুর্দান্ত নাচেন। ডান্স ফ্লোরে বাচ্চাদের কী ভাবে অনুপ্রাণিত করেন?
উ: ব্যাপারটা আসলে উল্টো (হেসে)। বাচ্চারা যখন স্টেজে পারফর্ম করে, ওদের স্বপ্নগুলো অনুভব করে আমি অনুপ্রাণিত বোধ করি। নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়।
প্র: গত বছর করোনা সংক্রমণ যখন তুঙ্গে, তখন আপনার জীবনে মেয়ে সমিশা আসে। ও আসার পরে জীবন কতটা বদলেছে?
উ: আমার জীবনে দ্বিতীয় সন্তান সমিশার আসাটা খুব তাৎপর্যপূর্ণ। এমন একটা সময়ে ও এসেছে, যখন গোটা পৃথিবী টালমাটাল। তখন ওকে চোখের সামনে দেখাটা এক অদ্ভুত আনন্দের অনুভূতি। এখন আমার একটাই চাওয়া, মা আমাকে আর শমিতাকে যে আদর্শ ও মূল্যবোধ দিয়ে বড় করেছে, সেটা যেন সন্তানের মধ্যেও আমি সঞ্চারিত করতে পারি।
প্র: আপনাদের সুখী দাম্পত্য জীবন। পারফেক্ট ম্যারেজের কি কোনও সংজ্ঞা হয়?
উ: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি আর রাজ (কুন্দ্রা) পরস্পরকে আরও ভাল ভাবে জেনেছি, বুঝেছি। একে অপরকে বিশ্বাস করা এবং সম্মান জানানো, দাম্পত্য জীবনের বড় স্তম্ভ।
প্র: মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে এখন বলিউডে অনেক অভিনেতাই সরব। নিজেকে ভাল রাখতে কী করেন?
উ: দুটো কাজ আমি সব সময়ে করি নিজের স্বাস্থ্য ও মন ভাল রাখতে। যোগব্যায়াম করি নিয়মিত, যা আমাকে সব রকম নেগেটিভিটি থেকে দূরে রাখে। আর যতটা পারি বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাই। ওদের হাসি, মিষ্টি কথা আমাকে ভাল রাখে। করোনা পরিস্থিতিতে এটা আমি ভাল ভাবে বুঝেছি।
প্র: অনেক দিন পর আবার বড় পর্দার জন্য কাজ করছেন। কেমন লাগছে?
উ: এই অনুভূতির কোনও তুলনা হয় না। ছবির জন্য শুটিং করা আর তার মুক্তির অপেক্ষায় থাকা, এর চেয়ে বড় পাওনা আর কী হতে পারে?