সম্প্রতি রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার মামলা দায়ের করেছিলেন শার্লিন চোপড়া। জানিয়েছিলেন, জোর করে তাঁকে চুমু খেয়েছেন শিল্পা শেট্টির স্বামী।
কিন্তু সেটিই একমাত্র নয়, বলিউডের আরও এক পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন শোষণের অভিযোগ এনেছেন বলিউডের ‘বি গ্রেড’ ছবির নায়িকা হিসেবে পরিচিত শার্লিন।
সেই পরিচালক ফারহা খানের ভাই সাজিদ খান। ‘হাউজফুল’, ‘হে বেবি’-র মতো একাধিক ছবির পরিচালক।
২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে কাজের জন্য সাজিদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শার্লিন। সাজিদ তাঁকে ফোন করে ডেকেছিলেন কথা বলার জন্য। জানিয়েছিলেন তাঁকে নিয়ে ছবি করতে চান পরিচালক।
সাজিদের কথা মতোই তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন শার্লিন। সাজিদের সঙ্গে কাজ করবেন বলে উৎফুল্ল ছিলেন অভিনেত্রী।
সাজিদের সঙ্গে সাক্ষাতের কিছু দিন আগেই বাবাকে হারিয়েছিলেন শার্লিন। সে কথা পরিচালককেও জানিয়েছিলেন তিনি। শার্লিনের বাবার মৃত্যুর খবর শুনেও সংযত হননি সাজিদ। আচমকাই তাঁকে নিজের যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করেন তিনি। এর পর অভিনেত্রীকে পরিচালক তাঁর যৌনাঙ্গ স্পর্শ করার নির্দেশ দেন।
সাজিদের এই আচরণে অবাক হয়ে যান শার্লিন। ফারহা খানের ভাইকে তিনি জানান, এ ধরনের ক্রিয়াকলাপ বা কথোপকথনের মতো মানসিক অবস্থায় তিনি নেই। কারণ সদ্য তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে। প্রিয়জনকে হারানোর গভীর শোক তখন শার্লিনের মনে।
শার্লিনের কথা শোনার পরেও থামেননি সাজিদ। আবার তাঁকে যৌনাঙ্গ ছুঁয়ে দেখার জন্য জোর করেন। সাজিদের এমন আচরণ সহ্য করতে পারেননি শার্লিন। তাঁকে ভর্ৎসনা করে বেরিয়ে যান। এই ঘটনার ১৬ বছর পর অবশেষে মুখ খোলেন শার্লিন। জানান, এমন এক অভিজ্ঞতার কথা সামনে আনার সাহস সঞ্চয় করতে অনেকটা সময় লেগেছে তাঁর।
জিয়া খানকেও যৌন হেনস্থা করেছিলেন সাজিদ। অভিনেত্রীর মৃত্যুর সাত বছর পর তাঁর দিদি করিশ্মা খান এমনই অভিযোগ এনেছিলেন পরিচালকের বিরুদ্ধে। জানিয়েছিলেন, জিয়াকে তিনি ঊর্ধ্বাঙ্গের পোশাক খুলে ফেলতে বলতেন।
শার্লিন এবং করিশ্মার পাশাপাশি রেচেল ওয়াইট, সলোনি চোপড়ার মতো অভিনেত্রীরাও যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন সাজিদের বিরুদ্ধে।