চিত্রনাট্যকার বৈভব বিশাল ১৯৫৮ সালের ‘জেলার’ ছবির একটি সাদা-কালো স্থির চিত্র সামনে আনেন। জানান, নায়িকা গীতা বালির হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকা শিশু শিল্পী নাকি শশী স্বয়ং। শনিবার শশীর জবাব, তিনি জানতেন মজা করতেই বিশাল এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রশংসাও করেছেন, যে ছবিটি বিশাল বেছেছেন সেই ছবির শিশুশিল্পীর সঙ্গে শশীর মুখের অদ্ভুত মিল! পরে সে কথা স্বীকার করেছেন বিশালও।
শশী তারুর
রাজনীতিতে ‘লেডি কিলার’ তকমায় খ্যাত কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর নাকি এক কালে অভিনয় করতেন?
আজও অ্যালবট কাটা চুল যখন-তখন চোখ ঢেকে দেয়। মাথা ঝাঁকিয়ে সেই চুল সরিয়েও নেন তিনি। মুখে চোস্ত ইংরেজি। চোস্ত-পাঞ্জাবি, জহর কোটে, ঝরঝরে হাসিতে ঝকঝকে উপস্থিতি। নীল চোখে চোখ পড়লে চোখ আটকে যায় বহু রমণীর। এমন পুরুষকে ক্যামেরা পছন্দ করবে, জানা কথা! কিন্তু কোন বয়সে তিনি অভিনয় করতেন?
১ এপ্রিল প্রকাশ্যে এসেছে একটি ছবি। সেখানে দেখা গিয়েছে, শিশুশিল্পী হিসেবে উপস্থিত কংগ্রেস সাংসদ। তাঁকে দেখে প্রথমে হতবাক সবাই। তার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল উত্তেজনা। এক দিকে প্রশংসা, শুভেচ্ছার ঢল। অন্য দিকে, যাচাইয়ের কৌতূহলে আতস কাচের নীচে ছবিটিকে ফেলে কাটাছেঁড়া। শশী নিজেও ছবিটি দেখেছেন। কিন্তু টুঁ শব্দ করেননি। ২ এপ্রিল হাটে হাঁড়ি ভেঙেছেন। শুরুতেই রসিকতা, ‘শুক্রবার কত তারিখ ছিল ভুলে গিয়েছেন?’
‘এপ্রিল ফুল’-এর দিন চিত্রনাট্যকার বৈভব বিশাল ১৯৫৮ সালের ‘জেলার’ ছবির একটি সাদা-কালো স্থির চিত্র সামনে আনেন। জানান, নায়িকা গীতা বালির হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকা শিশু শিল্পী নাকি শশী স্বয়ং। শনিবার শশীর জবাব, তিনি জানতেন মজা করতেই বিশাল এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রশংসাও করেছেন, যে ছবিটি বিশাল বেছেছেন সেই ছবির শিশুশিল্পীর সঙ্গে শশীর মুখের অদ্ভুত মিল! পরে সে কথা স্বীকার করেছেন বিশালও। কৌতুকের মেজাজেই জানিয়েছেন, 'শশী বরাবর রাজনীতিতেই। যা নাকি অভিনয়ের সবচেয়ে বড় রঙ্গমঞ্চ। এমনিতে কোথাও তাঁকে অভিনয় করতে দেখা যায়নি।' তবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা এত সহজে মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, ১৯৫৪-তে শশী জন্মেছেন। সোহরাব মোদীর ‘জেলার’ ১৯৫৮-র ছবি। রটনা ঘটনা হতে কত ক্ষণ?
শশীকে নিয়ে এই ধরনের গুঞ্জন নাকি নতুন নয়। আগেও শোনা গিয়েছিল, সলমন খান, আমির খান অভিনীত ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ ছবির বাসের দৃশ্যে একেবারে পিছনে বসা লোকটি নাকি স্বয়ং সাংসদ!