রাতাশ্রীর প্রশংসা করেছেন স্বয়ং শর্মিলা ঠাকুর।
অভিনয় জীবনের প্রথম বড় ছবি। প্রথম কাজেই স্বয়ং শর্মিলা ঠাকুর প্রশংসা করেছেন তাঁর। খুশির চোটে মেঘমুলুকে অতনু বসুর ‘অচেনা উত্তম’-এর ‘শর্মিলা’ ওরফে রাতাশ্রী দত্ত। আনন্দবাজার অনলাইনের ফোনে উচ্ছ্বাস, ‘‘শুনেছি, শর্মিলা ঠাকুর নাকি আমার লুক দেখেছেন। ট্রেলারে অভিনয়ের ঝলকও দেখেছেন। এবং ঘনিষ্ঠ জনের কাছে প্রশংসা করেছেন। আমার ‘নায়ক’ মুখস্থ করা সার্থক!’’ ২২ জুলাই মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।
উত্তমকুমারকে নিয়ে ছবি বানাচ্ছেন অতনু। এই খবর প্রথম জানিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। অতিমারির ভয়ঙ্কর সময় পেরিয়ে অবশেষে তৈরি হয়েছে ‘অচেনা উত্তম’। ‘ম্যাটিনি আইডল’-এর অজানা দিক অনুরাগীদের কাছে তুলে ধরবেন তিনি, আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন পরিচালক। উত্তমকুমারের ভূমিকায় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, দিতিপ্রিয়া রায়, বিশ্বনাথ বসু যথাক্রমে সুচিত্রা সেন, গৌরী দেবী, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, তরুণকুমার। সেখানেই আলাদা করে নজর কেড়েছেন রাতাশ্রী। বাচনভঙ্গি, কণ্ঠস্বর, আচার-আচরণে যেন হুবহু সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’-এর শর্মিলা ওরফে ‘অদিতি সেনগুপ্ত’ তিনি!
অভিনয় এবং মডেলিংয়ে রাতাশ্রী চেনামুখ। হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের সিরিজের পাশাপাশি বাংলাদেশেও তাঁর বড় ছবি মুক্তি পেয়েছে। অতনুর ছবিতে তিনি রূপসজ্জায় নিখুঁত রূপটানশিল্পীর গুণে। অভিনয়, কণ্ঠস্বরে এত মিল কী করে? প্রশ্ন ছিল আনন্দবাজার অনলাইনের। অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘অতনুদা ডেকে সুযোগ দিয়েছেন। ফলে, ওঁর এবং নিজের মান রাখতেই হত। তাই ‘নায়ক’ ছবিটিকে গুলে খেয়েছি। দিনে পাঁচ বার করে ছবিটি দেখতাম। শর্মিলা ঠাকুরের সবটুকু মুখস্থ করে ফেলেছিলাম। ওঁর কথা, আচরণ এমনকি, শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরনও! হয়তো সেটাই পর্দায় প্রতিফলিত হয়েছে।’’ পরিচালকও নাকি তাঁকে বলেছিলেন, পর্দায় হুবহু পতৌদি-ঘরনি হয়ে উঠতে হবে।
হুবহু শর্মিলা শুধু নয়। রাতারাতি ব্যতিক্রমীও হয়ে উঠেছেন রাতাশ্রী। চরিত্রদের চেহারা এবং প্রচার-ঝলক বেরোনোর পরেই ছবির সমস্ত অভিনেতা দর্শকদের কটাক্ষের শিকার। অথচ রাতাশ্রীকে নিয়ে কোনও বিরূপ সমালোচনা নেই! কেন? একটু থমকে সহজ জবাব, ‘‘হয়তো আমি নতুন বলে। ওঁরা সবাই অভিনয়ের দিকপাল। দর্শকদের তাই প্রত্যাশাও প্রচুর। আমি এখনও সেই জায়গায় পৌঁছতে পারিনি। তাই হয়তো আমার ভাগ্যে ইতিবাচক মন্তব্য। এটাই সবার আশীর্বাদ।’’