১৯৯৯ সালে শাবানা আজমি অভিনীত ছবি ‘গডমাদার’ দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন শরমন। ফাইল চিত্র
তাঁর অভিনীত প্রথম সফল ছবি ‘স্টাইল’। ২০০১ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। কিন্তু তত দিনে বেশ কয়েকটি ছবি এবং অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে ফেলেছেন শরমন জোশী। ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠার জন্য টানা কাজ করে গিয়েছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অতীতের সেই কঠিন দিনগুলির স্মৃতি রোমন্থন করলেন নায়ক। জানালেন, একটা সময় ছিল, টেলিফোন ডিরেক্টরি খুলে একের পর এক পরিচালককে ফোন করে যেতেন শরমন, যদি কেউ তাঁকে কাজ দেন!
১৯৯৯ সালে শাবানা আজমি অভিনীত ছবি ‘গডমাদার’ দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন শরমন। রাজকুমার সন্তোশী পরিচালিত বহু তারকা খচিত ছবি ‘লজ্জা’ (২০০১)-তেও একটি ছোট্ট ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। সে বছরই পরের দিকে ‘স্টাইল’ ছবিতে প্রথম মূল চরিত্রে অভিনয়। এর আগে টেলিভিশনেও কাজ করেছেন, তবে ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে ‘স্টাইল’-এর পরই। তার আগে কতটা কঠিন ছিল লড়াই?
শরমন বললেন, “সে সময় ফিল্ম ডিরেক্টরি ছিল। ইন্ডাস্ট্রির কে কোন পদে কাজ করেন সব বিবরণ-সহ তাঁদের ফোন নম্বর লেখা থাকত তাতে। পরিচালকদের যে তালিকা ছিল সেখান থেকে নম্বর নিয়ে আমি ল্যান্ডলাইন থেকে ফোন করতাম একে একে। মোবাইল আসেনি তখনও। পরিচালকরা ফোন ধরতেন এবং সুন্দর ভাবে কথা বলতেন। অবশ্যই, থিয়েটার করার সুবাদে আমার ভিত তৈরি ছিল। অভিনয়ের মধ্যেই যে ছিলাম সেটা সবাই জানতেন। পরিচালকদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ দেখা করতে বলতেন। আসতাম। আবার কেউ বলতেন না।”
শরমনের মতে, ব্যবসার জগতে সবাই সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চান। তাই অসম্মানিত হতে হয়নি তাঁকে। তাঁর কথায়, “আগে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ হোক বা না হোক, কথাবার্তা চালানোর মতো সুসম্পর্ক থাকত। এখনও আমি তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে চাইতে পারি।”
২০২১ সালে ‘বাবলু ব্যাচেলর’ ছবিতে শেষ বার দেখা গিয়েছে শরমনকে। অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত সেই ছবিতে পূজা চোপড়া আর তেজস্বী প্রধানকেও দেখা গিয়েছিল। তার আগে অ্যাকশন ছবি ‘মেরা ফৌজি কলিং’-এও নজর কেড়েছেন শরমন।