নতুন শিল্পীদের উদ্দেশে এটাই বলতে চান সুরকার

‘রোজগার ও নাম করার মধ্যে ব্যবধান আছে’

রিয়্যালিটি শো বিজয়ীদের গান গেয়ে রোজগারকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেন শান্তনু।

Advertisement

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:১০
Share:

শান্তনু

সুরকার শান্তনু মৈত্রের ভূমিকার প্রয়োজন হয় না। তবে তাঁর চেনা ইমেজে লুকিয়ে এক অনুসন্ধিৎসু মন, যা শহরের হাতছানিকে উপেক্ষা করে উড়ে যায় দূরদূরান্তে। ‘‘প্রফেশনাল ক্লাইম্বিং করার ইচ্ছে অনেক দিনের। তবে কাজের ঠেলায় হয়ে ওঠে না। আর কাজে একঘেয়েমিও আসে। নতুন কিছু শিখব বলেই বেরিয়েছিলাম,’’ বলছিলেন শান্তনু। মনের অবস্থা যখন এমন, তখন হিমালয়ের রহস্য উদ্‌ঘাটনে পাড়ি দিয়েছিলেন ওয়াইল্ডলাইফ ফোটোগ্রাফার বন্ধু ধৃতিমান মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ‘‘২০১৬ সালে ১৪ হাজার ফিট উচ্চতায় একশো দিন কাটিয়েছিলাম। কাশ্মীর থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল, শেষ অরুণাচল প্রদেশে। ওখানে গরমে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি, ঠান্ডায় মাইনাস ৩০ ডিগ্রি। তার মধ্যেই দলবেঁধে থাকেন মানুষ।’’

Advertisement

মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন দুর্গমতায় ঘিরে থাকা জনজীবন সম্পর্কে কৌতূহল ছিল সুরকারের। ‘‘শিল্পী মন সব সময়ে ভয়ের মধ্যে বাঁচে। আমার গান লোকে শুনছে কি না, আমি কাজ পাচ্ছি কি না... কিন্তু ওখানকার মানুষকে দেখে‌ বুঝেছিলাম, শহুরে জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য থাকলেও, কিছু একটার অভাব রয়েছে। এখানে আমরা পাশাপাশি থেকেও একলা। আর ওরা একসঙ্গে থাকায় বিশ্বাসী।’’

অন্য ধরনের জীবনযাপন উদ্বুদ্ধ করলেও সুরের টানে, রুজির টানে ফিরতেই হয় চেনা শহরে। বাংলায় এই মুহূর্তে কাজ করছেন না শান্তনু। হিন্দিতে করেছেন সুমন ঘোষের ‘আধার’ আর সুজিত সরকারের ‘গুলাবো সিতাবো’র সুর। হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে এই মুহূর্তে গানপ্রধান ছবি না হলেও তিনি আশাবাদী, ‘‘বছর দেড়েকের মধ্যে পরিস্থিতি বদলাবে।’’

Advertisement

রিয়্যালিটি শো বিজয়ীদের গান গেয়ে রোজগারকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেন শান্তনু। কিন্তু সম্ভাবনাময় শিল্পীরা যখন মাচার গলিতে হারিয়ে যান, তখন তিনি কী ভাবেন? ‘‘অনেক শিল্পী রেওয়াজ করেও মাচা করেন, মানুষ জানতে পারেন না। তবে সকলকে যে মুম্বই আসতে হবে, এমন নয়। যে যে শহরে রয়েছে, সেখানকার বড় সুরকারদের সঙ্গে কাজ করতে পারে। আসলে রোজগার ও নাম করার মধ্যে কয়েকটা ফ্যাক্টর কাজ করে। দুটোই সমান ভাবে খুব কম জনই করতে পারে।’’ রিমিক্স গানে শিল্পীদের রেঞ্জ বোঝা যায় না বলে মনে করেন শান্তনু। তবে তিনি এটাও বলেন, ‘‘প্রচার না পাওয়া গানগুলির মধ্যেও অনেক ভ্যারাইটির, ভাল কাজ থাকে। কিন্তু সেগুলো মানুষ জানতেই পারে না।’’

সুরের ভুবনে থাকলেও শান্তনুর পরবর্তী এক্সপিডিশনের পরিকল্পনা সারা। গঙ্গার উৎসস্থল থেকে ৩২০০ কিলোমিটার সাইকেলে ভ্রমণ করবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement