মুকেশের পর এ যুগের ‘শক্তিমান’ কে?
বড় পর্দায় আসছে নব্বই দশকের নস্টালজিয়া ‘শক্তিমান’। খবর আগেই ঘোষণা করেছিল সোনি পিকচার্স। কিন্তু কে হবেন এই শতকের শক্তিমান? অবধারিত প্রশ্ন ছিল দর্শকের মনে। সেই কৌতূহল মিটতে চলেছে শীঘ্রই। জানা গেল নির্মাতাদের তালিকা লম্বা। শক্তিমানের দৌড়ে তাঁদের প্রথম পছন্দ রণবীর সিংহ।
এত দিনের জল্পনায় শক্তিমান যেমন ছিল প্রশ্নের মুখে, তেমনই চিন্তা ছিল পরিচালনা নিয়ে। পর্দার জনপ্রিয় ধারাবাহিককে কে দেবেন চলচ্চিত্র-রূপ? বহু আলোচনার পর সিদ্ধান্তে আসা গিয়েছে বলেই জানালেন প্রযোজকরা। ‘মিন্নাল মুরালি’-র পরিচালক বাসিল জোসেফ এই দায়িত্বে বহাল হবেন। ভারতীয় সুপারহিরো ছবির ঘরানায় বাসিল পরিচিত নাম। জানা যায়, ‘শক্তিমান’ চরিত্রেরও বড় ভক্ত তিনি। তাঁর হাত ধরেই তৈরি হবে শক্তিমান ট্রিলজি। দেশের সুপারহিরোকে রাজকীয় ভাবে তুলে ধরার প্রয়াস এই প্রথম।
পণ্ডিত গঙ্গাধর বিদ্যাধর মায়াধর ওমকারনাথ শাস্ত্রীকে মনে আছে? চোখের পলকে যে শক্তিমান হয়ে শায়েস্তা করত ডক্টর জাকালকে। ফের তাঁকেই নাকি দেখা যাবে পর্দায়। তবে আগে ছিল তার একার রাজ্যপাট। আর এখন সুপারম্যান, ব্যাটমান, ছোটা ভিম, মিস্টার বিনের মতো চরিত্রদের সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিতে হবে তাঁকে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রযোজক গোষ্ঠীর সঙ্গে একাধিক বার দেখা করেছেন বাসিল। তবে যত ক্ষণ না পরিকল্পনা একেবারে মনের মতো হচ্ছে, কাগজপত্রের কাজ শুরু হতে দেরি।
নির্মাতারা জানান, শক্তিমান এমন এক ফ্র্যাঞ্চাইজি যা হিন্দি টেলিভিশনের দুনিয়ায় বিপ্লব এনেছিল। অভিনেতা মুকেশ খান্না এই চরিত্রকে পরিবারের এক জন করে তুলেছিলেন। শক্তিমান বলতে এখনও তাঁর মুখই ভেসে ওঠে এক গোটা প্রজন্মের দর্শকের কাছে। এই ধারাবাহিক ঘিরে বহু মানুষের কৈশোরের আবেগ এখনও চনমনে। নবনির্মাণের সময় তাই সব দিক খেয়াল রেখে সাবধানে পা ফেলতে চান প্রযোজকরা। পরিচালক খুঁজতেও তাই বেশ কিছুটা সময় লেগে গিয়েছে বলে জানান। এখনও অবধি কথাবার্তা যত দূর এগিয়েছে তা বেশ সন্তোষজনক বলেই খবর।
আর ও দিকে মুকেশের পরে ‘শক্তিমান’ চরিত্রে রণবীরের উপস্থিতি কি চূড়ান্ত? নির্মাতারা প্রায় ৯০ শতাংশ নিশ্চিত। তাঁদের মতে, যত জনকে ভাবা হয়েছে তার মধ্যে সুপারহিরো হিসাবে সেরা মানিয়েছেন রণবীরই। তাঁর পক্ষেও এই প্রস্তাব লাভজনক, মনে করছেন নির্মাতারা। যদিও তিনি খুবই হিসাব করে চরিত্র বাছেন, এ কথাও সত্যি। তবে চিত্রনাট্য শোনার আগ্রহ দেখিয়েছেন তিনি।