আমিরের সিদ্ধান্তের কারণ কি শাহরুখ?
বৃহস্পতিবার ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে’ ছবিটির মুক্তির ২৭ বছর পূর্ণ হল। সকাল থেকেই অনুরাগীরা এই ছবি নিয়ে তাঁদের নস্টালজিয়ার কথা সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে অন্য একটি তথ্যও সামনে এসেছে। সিনেপ্রেমীদের মধ্যে অনেকেই হয়তো জানেন, নব্বইয়ের দশক থেকে আমির খান বলিউডের কোনও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু কেন? বিভিন্ন সময়ে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন কানে এসেছে। তবে এ বার অন্য একটি কারণও উঠে এল। বলা হচ্ছে, আমিরের এই সিদ্ধান্তের পিছনে অন্যতম কারণ হতে পারেন শাহরুখ খান!
‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে’ ছবির দৃশ্য। ফাইল চিত্র।
বলিউডে শাহরুখ-আমির সম্পর্ক নিয়ে নানা কথা ঘোরাফেরা করে। বলা হয়, দু’জনের বন্ধুত্ব শুধুই সৌজন্যের খাতিরে। আসলে তাঁদের মধ্যে প্রতিযোগিতা রয়েছে বিস্তর। সম্পর্কে রয়েছে দূরত্ব। ফিরে যাওয়া যাক নব্বইয়ের দশকে। ১৯৯৪ সালে ‘বাজিগর’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতার ‘ফিল্মফেয়ার’ পুরস্কার পান বাদশা। ওই বছরেই ‘হাম হ্যায় রাহি পেয়ার কে’ ছবির জন্য একই বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন আমির। ঠিক দু’বছর পর একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটে। ‘রঙ্গিলা’ ছবির জন্য আমিরের সেরা অভিনেতার পুরস্কারের মনোনয়ন থাকলেও শেষে ফের বাজিমাত করেন শাহরুখ। ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার নিজের ঝুলিতে পোরেন তিনি।
বি-টাউনের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, এই ঘটনার পর থেকেই নাকি আমির বলিউডের কোনও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ করে দেন। কারণ, ‘রঙ্গিলা’তে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হওয়ার পরেও পুরস্কার অধরা থেকে যায়। এর পরে বলিউডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানগুলির প্রতি আমিরের দৃষ্টিভঙ্গি নাকি বদলে যায়। তার পর থেকেই এই ধরনের শো থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেন ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’। যদিও আমির নিজে বিষয়টি নিয়ে কখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার এই কালজয়ী ছবি নিয়ে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন ছবির অন্যতম সঙ্গীত পরিচালক যতীন পণ্ডিত। ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন যতীন–ললিত। সে বছর এই ছবি সঙ্গীতের জন্য পুরস্কার জিততে পারেনি। পরিবর্তে ‘রঙ্গিলা’ ছবির জন্য ট্রফি ওঠে এ আর রহমানের হাতে। যতীন বলেন, ‘‘আজও বিষয়টা নিয়ে আমি দুঃখ পাই। এই ছবির জন্য পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল। সময়ের সঙ্গে ছবির গানগুলি আরও জনপ্রিয় হয়েছে। এ রকম সঙ্গীত তো বার বার হয় না!’’