শাহিদ কপূরের সৎ বাবা রাজেশ
কোভিডের প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত খট্টর পরিবার। সারা জীবনে যা অর্থ সঞ্চয় করেছিলেন তাঁরা, সব চিকিৎসার পিছনে খরচ হয়ে গিয়েছে।
শাহিদ কপূরের মা ও বাবা নীলিমা আজিম ও পঙ্কজ কপূরের বিবাহবিচ্ছেদ হয় ১৯৮৪ সালে। ১৯৯০ সালে রাজেশ খট্টরকে বিয়ে করেছিলেন নীলিমা। তাঁদের পুত্র অভিনেতা ঈশান খট্টর। পরবর্তীকালে নীলিমার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পরে অভিনেত্রী বন্দনা সাজনানীকে বিয়ে করেন রাজেশ।
রাজেশের পরিবার এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। শারীরিক দিক থেকেও সুস্থ ছিলেন না কেউ। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে ঈশান খট্টরের বাবা অভিনেতা রাজেশ খট্টর নিজেও কোভিডে আক্রান্ত হন। তিনি বেঁচে ফিরলেও করোনায় প্রাণ যায় তাঁর বাবার। হাসপাতাল থেকে সরাসরি নিজের বাবার শেষকৃত্য করতে যেতে হয়েছিল তাঁকে। হাসপাতালের শয্যা পেতেও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে রাজেশ এবং তাঁর বর্তমান স্ত্রী বন্দনা সাজনানীকে।
রাজেশ খট্টরের পুত্র ঈশান খট্টর।
সম্প্রতি বন্দনা তাঁদের দুর্দশার কথা জানালেন এক সংবাদমাধ্যমকে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরের অসুস্থতার জন্য তাঁরা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। সমস্ত অর্থ খরচ হয়ে গিয়েছে। তাও শ্বশুরকে বাঁচানো যায়নি। তা ছাড়া প্রথম ঢেউয়ের সময়ে তিনি গর্ভবতী ছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘সেই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত হাসপাতালেই দিন কাটছে আমাদের পরিবারের।’’ এমনকি তাঁদের পুত্রসন্তানকেও আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়েছিল।
আর্থিক অনটনের প্রসঙ্গে বন্দনা জানালেন, গত বছর সমস্ত সঞ্চয় শেষ হয়ে গিয়েছে। টাকা রোজগারের উপায়ও বন্ধও। কাজ নেই লকডাউনে। ২০২০ থেকে এখনও পর্যন্ত কেবল একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন অভিনেত্রী।