পদ্মাবতী: সেন্সর বোর্ডেই আস্থা শাহিদের

গত ১ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ‘পদ্মাবতী’র। কিন্তু রানি পদ্মিনীর নাচের দৃশ্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে রাজপুত করণী সেনা। তারা দাবি করে, ছবিতে সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির স্বপ্ন-দৃশ্যে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখানো হয়েছে রানিকে। পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভন্সালী অবশ্য ফিল্মে এ ধরনের কোনও দৃশ্য থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:৫৫
Share:

পদ্মাবতীর ভবিষ্যৎ সেন্সর বোর্ডের হাতে তুলে দিয়েছে সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি ও সংসদীয় প্যানেল। আর তাতেই আশার আলো দেখছেন শাহিদ কপূর। তাঁর কথায়, ‘‘আশা করা যায় এ বার পদ্মাবতী মুক্তি পাবে।’’

Advertisement

গত ১ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ‘পদ্মাবতী’র। কিন্তু রানি পদ্মিনীর নাচের দৃশ্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে রাজপুত করণী সেনা। তারা দাবি করে, ছবিতে সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির স্বপ্ন-দৃশ্যে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখানো হয়েছে রানিকে। পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভন্সালী অবশ্য ফিল্মে এ ধরনের কোনও দৃশ্য থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। ক্রমে বিক্ষোভ ছড়াতে থাকে দেশজুড়ে। গুজরাত থেকে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, বিভিন্ন রাজ্য ছবিটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানাতে থাকে। এর পরই পদ্মাবতীর প্রযোজক ও নির্মাতা সংস্থা নিজেরাই ছবির মুক্তি অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে দেয়। যদিও সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠলে, প্রতিবারই পদ্মাবতীর মুক্তি আটকানোর আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। পরে সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি ও সংসদীয় প্যানেলে ডেকে পাঠানো হয় পরিচালক ভন্সালী ও সেন্সর বোর্ড প্রধান প্রসূন জোশীকে। সেখানেই কমিটি জানায়, ছবি মুক্তি পাবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড।

সেই প্রসঙ্গেই শাহিদ আজ একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘একটা বড় বৃত্ত। যেখান থেকে শুরু হয়েছিল, সেখানেই এসে দাঁড়িয়েছি আমরা। ছবি মুক্তি পাবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সেন্সর বোর্ডই সঠিক। এমনিতেই অনেকটা সময় চলে গিয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরি পদ্মাবতী মুক্তি পাবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘উড়তা পঞ্জাব-এর সময়েও অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ ছবি মুক্তি পেয়েছিল। সবাই দেখেও ছিল। আমার বিশ্বাস পদ্মাবতীর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই হবে।’’

Advertisement

তবে এই গোটা পর্বে যে ভাবে দীপিকা পাড়ুকোনের নাক কাটার হুমকি থেকে মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করেছেন হৃতিক রোশন, বরুন ধবন, সোনাক্ষী সিনহারা। হৃতিক বলেন, ‘‘আমাদের সমাজ যে এখনও বড় হয়নি, এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’ বরুনের বক্তব্য, মানুষ প্রতিবাদ জানাতেই পারে। কিন্তু তা বলে হিংসা ছড়ানো কেন? সোনাক্ষীরও কথা, ‘‘যে ভাবে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement