বিয়ের আগে শাহিদের জীবনে প্রেম কম আসেননি। তবে ভেবেচিন্তে ১৩ বছরের ছোট, দিল্লির মেয়ে মীরার গলায় মালা দেন শাহিদ। —ফাইল চিত্র
বলিপাড়ায় এত বিচ্ছেদের ভিড়ে শাহিদ কপূর আর মীরা রাজপুতের যৌথযাপন অনেককেই অবাক করে। শুধু তা-ই নয়, দু’জনের দাম্পত্যের বয়স আট বছর পেরোলেও প্রেম এখনও শুরুর দিকের মতোই গাঢ়। তাঁদের সম্পর্কের রসায়নে মুগ্ধ অনুরাগীরা। ব্যক্তিগত পরিসরে যত সমস্যাই থাক না কেন, তা চার দেওয়ালের বাইরে বেরোতে দেন না দু’জনের কেউই। প্রকাশ্যে ভালবাসা উদ্যাপন করেন তাঁরা। দুই সন্তানকে নিয়ে প্রেমের আবহেই বাঁচেন শাহিদ আর মীরা। কিন্তু কী করে সম্ভব? কী সেই মন্ত্র, যার জোরে এমন দাম্পত্যের জন্ম দেওয়া যায়? জিজ্ঞাসা করতে শাহিদ লাজুক হেসে বলেন, “যৌনতা।”
‘কবীর সিংহ’ অভিনেতা তাঁর যৌনজীবন নিয়ে বরাবরই অকপট। প্রকাশ্যে বলেন, “কামনা-বাসনা অবদমিত করে রাখা আমার ধাতে নেই। আমরা পরস্পরের সামনে ভালমতোই প্রকাশ করি। আর এটাই ভিত্তি আমাদের সম্পর্কের। তার পর বাকি সব।”
মীরা এর সঙ্গে জোড়েন, “শাহিদ বিছানায় একেবারে অন্য রকম। যা বলবে তাই। সবটা ওর নিয়ন্ত্রণে।” বলিউডের এই জুটি জানান, তাঁরা যৌনতাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন নিজেদের জীবনে।
দুই সন্তান মিশা এবং জৈনকে ঘিরেব ৫ বছরের সুখী দাম্পত্য তাঁদের। তবে সন্তানদের আড়াল করে রেখেছেন ক্যামেরা থেকে।
বিয়ের আগে শাহিদের জীবনে প্রেম কম আসেনি। শাহিদের চর্চিত প্রেমিকা ছিলেন করিনা কপূর। ‘জব উই মেট’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই সেই সম্পর্ক ক্রমশ ঝাপসা হতে শুরু করে। কিন্তু তার পরেও চলতে থাকে সম্পর্কের গুঞ্জন। ২০১২ সালে করিনা নবাব পরিবারের বৌ হয়ে যাওয়ার পর সেই গুঞ্জন বন্ধ হয়। তার পর শাহিদও আর দেরি করেননি। বছর তিনেক পরে দিল্লির মেয়ে ১৩ বছরের ছোট মীরার গলায় মালা দেন। সে বছরেই মেয়ের বাবা হন। বলিউডের সম্পর্ক নাকি ভাঙার জন্যই তৈরি হয়, দর্শকের এমন ধারণা বদলে দিয়ে একসঙ্গে প্রায় এক দশক কাটিয়ে দিলেন দু’জনে।
সম্পর্কের হাল যে শক্ত হাতে ধরেছিলেন মীরা, বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তা বার বারই স্বীকার করেছেন শাহিদ। অভিনেতা জানিয়েছেন, খারাপ কিংবা ভাল, মীরা সব সময়ে তাঁর পাশে থাকেন। সম্পর্কের যত্ন নিতে মানসিক ভাবে পাশে থাকা খুব জরুরি। দু’জনের বোঝাপড়াও খুব শক্তিশালী। অভিনেতার কথায়, ‘‘মীরা আমার কাছ থেকে সময় ছাড়া আর কিছু চায় না। ওঁর সত্যিই কোনও প্রত্যাশা নেই। সংসার, সন্তানদের বড় করা সবটাই একা হাতে করে মীরা। তা নিয়ে আমাকে কখনও কোনও অভিযোগ জানায়নি। সম্পর্কের ওঠানামা থাকবেই। কিন্ত খারাপ সময়ে সঙ্গীর হাত আরও শক্ত করে ধরতে হবে। সেই সময়ে মুঠো আলগা করলেই সম্পর্কের ভিত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।’’