আরিয়ান খান।
স্বস্তি পেলেন না আরিয়ান খান। শাহরুখ-পুত্রের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল না আদালত।
বৃহস্পতিবার আরিয়ানকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয় আদালত। এই রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই শাহরুখ নিযুক্ত আইনজীবী আরিয়ানের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আপাতত রুদ্ধদ্বার কক্ষেই দিন কাটবে আরিয়ানের। তাঁর দুই সঙ্গী আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধমেচার জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করেনি আদালত।
হোয়াটসঅ্যাপে যে কথোপকথনের জেরে আরিয়ানকে মাদকাসক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তা নেহাতই ‘নির্দোষ’ ফুটবল নিয়ে ছিল বলে দাবি করেছিলেন আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে। কিন্তু সরকারী আইনজীবী অনিল সিংহ মনে করছেন, ফুটবল নয়, সাঙ্কেতিক ভাষায় কোনও মাদক চক্রের সঙ্গে কথোপকথন চালাতেন আরিয়ান। সেই বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখতেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
আরিয়ানকে জামিন দিলে তথ্যপ্রমাণ নয়ছয় হতে পারে এবং তদন্ত প্রক্রিয়ার ব্যঘাত ঘটতে পারে। শুক্রবার আদালতে এই যুক্তি দেখিয়েছেন অনিল সিংহ। অন্য দিকে আরিয়ানের আইনজীবীর পাল্টা যুক্তি, প্রভাবশালী পরিবারের ছেলে মানেই তথ্যপ্রমাণ নয়ছয় করবেন, তা ধরে নেওয়া ভুল।
আপাতত আরিয়ান এবং বাকি অভিযুক্তরা তিন থেকে পাঁচ দিন আর্থার জেলে নিভৃতবাসে থাকবেন। ইতিমধ্যেই সেখানে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁদের।
দুই পক্ষের আইনজীবীর যুক্তি-পাল্টা যুক্তি এক সময়ে ঝগড়ার আকার নেয়। কিন্তু আপাতত এগিয়ে থাকলেন অনিল সিংহ। রুদ্ধদ্বার কক্ষেই দিন কাটবে শাহরুখ-পুত্রের।