আর অপেক্ষা দু’দিনের, ১২ মে বাংলাদেশে মুক্তি পেতে চলেছে শাহরুখ খান-দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘পাঠান’। ছবি: সংগৃহীত।
ভারতে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই একের পর এক নজির গড়েছে এই ছবি। ভারতেই ব্লকবাস্টার ছবি মুক্তি পেতে চলেছে বাংলাদেশে। কথা ছিল ইদেই মুক্তি পাবে। তবে কূটনৈতিক জটিলতার কারণে আটকে ছিল এই ছবির মুক্তি। আর অপেক্ষা দু’দিনের, ১২ মে বাংলাদেশে মুক্তি পেতে চলেছে শাহরুখ খান-দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘পাঠান’।
এত দিন ভারতীয় হিন্দি ছবি মুক্তির ক্ষেত্রে আপত্তি ছিল বাংলাদেশ সরকারের। প্রায় ৫২ বছর পর সে দেশে কোনও হিন্দি ছবি মুক্তি পাচ্ছে। অতীতে বাংলাদেশে তিনটি হিন্দি ছবি রিলিজ করলেও ২০১৫ সাল থেকে কোনও হিন্দি ছবি মুক্তি পাচ্ছিল না হাসিনার দেশে। ‘পাঠান’ সেই প্রথা ভেঙে নজির গড়তে চলেছে। তার উপর সেই ছবি যদি হয় শাহরুখ খানের। স্বাভাবিক ভাবেই দর্শকের মধ্যে হলে গিয়ে ছবির দেখার উন্মাদনা থাকে। যশরাজ ফিল্মস্-এর আন্তর্জাতিক ডিস্ট্রিবিউশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নেলসন ডিসুজা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সিনেমা সব সময় দেশ, সংস্কৃতি এবং জাতিগত দূরত্ব কমিয়েছে। সীমানার বেড়াজাল পেরিয়ে মানুষকে মুগ্ধ করেছে। বাংলাদেশের প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানাই আমরা। অনেক ধন্যবাদ। বাংলাদেশে শাহরুখ খানের একটা বিরাট সংখ্যক অনুরাগী রয়েছে।’’
বাংলাদেশে এই ছবির পরিবেশক অনন্যা মামুনের কথায়, ‘‘ভারতীয় সরকারি অনুমতি নিয়ে এই প্রথম কোনও ভারতীয় হিন্দি ছবি বাংলাদেশের মানুষ প্রেক্ষাগৃহে বসে দেখবেন। ইতিমধ্যেই দারুণ সাড়া পাচ্ছি। মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, মুক্তির এত দিন পর বাংলাদেশের দর্শকের মাঝে ‘পাঠান’ এতটা সাড়া ফেলবে, তা কল্পনা করতে পারেননি মামুন।
এখনও পর্যন্ত অগ্রিম বুকিংয়েই প্রায় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। খুব বেশি টিকিট পড়ে নেই আর। মামুন শেষে সংযোজন করেন, নিজস্ব সার্ভারের আওতায় ‘পাঠান’ মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। ই-টিকেটিং দ্বারা সহজেই বোঝা যাবে কত টাকা আয় করতে পারবে এই ছবি। বাংলাদেশে আরও বেশি সংখ্যক হলে এই ছবি মুক্তি পাওয়ায় অনুরোধ জানিয়েছেন হলমালিকরা, তবে প্রযুক্তিগত কিছু কারণে ৪১টির বেশি প্রেক্ষাগৃহে এখনই মুক্তি সম্ভব নয়।