পাঠান’-এর শুটে এত মজার স্মৃতি, বস্কো এখনও যেন সে সবেই আচ্ছন্ন। ছবি:ইনস্টাগ্রাম
‘পাঠান’ বিতর্কের আবহে বাইরে যতই জলঘোলা হোক, ফুরফুরে মেজাজেই কলাকুশলী। ছবির সেট থেকে নেপথ্যকাহিনির আভাস দিলেন কোরিওগ্রাফার বস্কো মার্টিজ়। কালো বুকচেরা জ্যাকেটে দাঁড়িয়ে আছেন নায়ক শাহরুখ খান। উন্মুক্ত পেশির ঝলকে তাঁর থেকে চোখ সরানোর উপায় নেই। পাশেই দাঁড়িয়ে পোজ় দিলেন বস্কো। জানালেন, শাহরুখ এমনিতে নিজের পেশি দেখাতে নাকি বেশ লজ্জা পান।
‘পাঠান’-এর শুটে এত মজার স্মৃতি, বস্কো এখনও যেন সে সবেই আচ্ছন্ন। তার মধ্যে এই ছবিটি তাঁর কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান। শাহরুখের সঙ্গে ছবি ভাগ করে লিখেছেন, “নিঃসন্দেহে অন্যতম সেরা ছবি, যেটা আমার ইনস্টাগ্রামে আছে। আমার সৌভাগ্য, এমন একটি ছবি তুলতে পেরেছি।” এর পরই শাহরুখের উদ্দেশে বস্কো লেখেন, “আমি জানি আপনি লজ্জা পাচ্ছিলেন...খোলা বুকে পেশি দেখাতে অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন, তবু সেই মুহূর্তটা ধরে রাখতে পেরে আমার জীবন ধন্য হয়ে গেল।”
সেই ছবি দেখে মুগ্ধ হলেন বস্কোর অনুরাগীরাও। তাঁকে ধন্যবাদ দিয়ে এক জন লিখলেন, “চোখ ঝলসানো ছবি। দুই তারকা পাশাপাশি।” আবার এক জন লিখলেন, “নিন্দকরা ভাবে শাহরুখের এই প্ল্যাস্টিক বডির পিছনে কোনও পরিশ্রম নেই। কিন্তু আমরা জানি, শাহরুখের নিরন্তর পরিশ্রম জড়িয়ে থাকে তাঁর সব কাজে। আমাদের চিরকালের পছন্দ শাহরুখ। তিনি ‘বাদশা’ই। আমরা ওঁকে ভালবেসে যাব।”
এ দিকে ‘পাঠান’-এর ‘বেশরম রং’ গানে দীপিকা পাড়ুকোনের গেরুয়া বিকিনিতে শরীর প্রদর্শন নিয়ে হইচইয়ের পর পরবর্তী নিশানায় এসেছে শাহরুখের খোলা গা। ‘ঝুমে যো পাঠান’-এ শাহরুখকে দেখে নেতিবাচক মন্তব্যে ভরেছে সমাজমাধ্যম।
বুকখোলা ছেঁড়াখোঁড়া পোশাকে পেশি দেখিয়ে মন জয় করার দিন শেষ, ‘বাদশা’র উদ্দেশে সেই বার্তাই দিতে চাইলেন অনেকে। এক জন গানের ভিডিয়ো শেয়ার করে টুইট করেছেন, “টম ক্রুজ় যখন ৬০ বছর বয়সে এসেও মহাকাশে স্টান্ট করছেন, আমাদের শাহরুখ ৫৭-তে শুধু পেশি দেখিয়েই কাত।” প্রশ্ন উঠছে, প্রতিটি ফ্রেমেই ছেঁড়া জামা কেন পরে আছেন নায়ক? আর এক মন্তব্যকারীর জবাব, “জ্যাক স্প্যারো সাজতে গিয়েছিলেন বোধ হয়! ঘেঁটে ফেলেছেন।” হতাশায় উপচে পড়ছে সমাজমাধ্যম। একঘেয়ে নাচের মুদ্রায় কোমর সামনে-পিছনে করে আর কত দিন চলবে বলিউডি গান? সেই প্রশ্নই সংক্রামিত হয়েছে ‘ঝুমে যো পাঠান’-এ।