Sezal Sharma

‘শুনুন, সেজাল বলছি, আমি কিন্তু বেঁচে’

ব্যাপারটা তবে একটু বিষদে বলা যাক।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:৪৭
Share:

সেজল শর্মা।

কিছু দিন আগেই মুম্বইয়ের নিজের ফ্ল্যাটে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ‘দিল তো হ্যাপি হ্যায় জি’ ধারাবাহিকের অন্যতম প্রধান চরিত্র সেজল শর্মা। আর তাতেই চূড়ান্ত অসুবিধায় পড়তে হয়েছে আর এক সেজলকে। কথায় বলে, নামে কী আসে যায়! কিন্তু নামের মিলে যে সত্যিই আসে যায় তা হাড়েহাড়েই টের পেয়েছেন অন্য আর এক সেজল।

Advertisement

ব্যাপারটা তবে একটু বিষদে বলা যাক। দুই সেজলেরই নাম এক। পদবীও এক। পার্থক্য শুধু একটি ইংরেজি অক্ষরের। যে সেজল আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি ইংরেজিতে তাঁর নামের বানান লিখতেন Sejal। অন্যদিকে আর এক সেজল যিনি জীবিত এবং বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি তাঁর ইংরাজি নামের বানান লেখেন Sezal। আর ওই ‘z’-এর পার্থক্যের জন্যই হয়ে গিয়েছে এক মস্ত ভুল। অনেক সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘দিল তো হ্যাপি হ্যায় জি’ সেজলের মৃত্যুর পর যাচাই না করে ‘ভুল’ সেজলের ছবি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দিয়েছে। এতে আর এক সেজলের কাছে ঢুকছে অগুন্তি কল, মেসেজ। সে যে বেঁচে আছে, সুইসাইড করেনি...তা বোঝাতেই হাঁপিয়ে উঠছেন অভিনেত্রী।

অবশেষে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, “আমি আমার প্রিয় মানুষ, পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের জানাতে চাই, আমি একদম সুস্থ রয়েছি। সেজলের মৃত্যুতে আমি মর্মাহত, একই সঙ্গে মিডিয়ার এ রকম অবিবেচক কাজের তীব্র নিন্দা করছি। আপনারা জানেন না আপনাদের এই ‘ভুল’-এর জন্য আমার কাছের মানুষেরা কী রকম প্যানিক করেছিলেন।”

Advertisement

আরও পড়ুন-‘জোর করে অশ্লীল ভিডিয়ো দেখাতেন’, গণেশ আচার্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মহিলা সহকর্মী

দেখুন সেzল- এর পোস্ট

Hello... I want to convey to all my friends and fans that I am absolutely fine. I am shocked and saddened by the suicide of actress Sejal Sharma. I plead to everybody, if you are depressed or disheartened in life, please don't end your life. Suicide is never a solution. I am appalled by the media for their reckless act on using my pictures. It created a lot of panic and stress among my close ones.

A post shared by sezal sharma (@sezalsharma) on

গত ২৫ জানুয়ারি আত্মঘাতী হয়েছিলেন ‘দিল তো হ্যাপি...’-র সেজল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, দীর্ঘ দিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তাঁর বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত। এত চাপ না নিতে পেরেই চরম সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন অভিনেত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement