বেলাশুরু’র টিম
তবে বেলা কিন্তু শেষ হয় না, বরং শুরু হয়! তিন বছর আগে যে ছবিটা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের এক নম্বর জায়গাটা বাঁধিয়ে নিয়েছিলেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়, সেই ‘বেলাশেষে’-র সিকুয়েল আসতে চলেছে, ‘বেলাশুরু’।
পরিচালকদ্বয় অবশ্য ‘বেলাশুরু’কে একেবারেই সিকুয়েল বলতে রাজি নন। যদিও আগের স্টারকাস্ট এ ছবিতেও অপরিবর্তিত। শিবপ্রসাদের কথায়, ‘‘ছবির মুখগুলো এক কিন্তু গল্প একেবারেই আলাদা। তাই সিকুয়েল বলছি না। এখানেও একটা পরিবার, তাদের সম্পর্ক, তাদের ক্রাইসিস। এ ছবিও ভালবাসারই গল্প বলবে।’’
‘বেলাশেষে’ বাংলা সিনেমার ইতিহাসে একটা মাইলস্টোন। বক্স অফিসে রেকর্ড সংখ্যক ব্যবসা করেছিল ছবি। ‘বেলাশুরু’তেও রয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অপরাজিতা আঢ্য, শঙ্কর চক্রবর্তী, ইন্দ্রাণী দত্ত, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, মনামী ঘোষ। পরিবারের সদস্যদের নামও আগের ছবিতে যা ছিল এখানেও তাই থাকছে। বদলে যাচ্ছে শুধু পদবী। ছবির কাহিনি-চিত্রনাট্য নন্দিতার। ‘‘আমরা যে গল্পটা বলতে চাইছিলাম তার জন্য ‘বেলাশেষে’র এই পরিবারটা একদম যথাযথ। তাই স্টারকাস্টও একই রাখা হল,’’ বক্তব্য নন্দিতার। নতুন ছবির গল্প বাস্তব থেকে নেওয়া। সবটা খোলসা না করলেও শিবপ্রসাদ জানালেন, হইচই ফেলে দেওয়া এবং সংবাদপত্রের শিরোনাম হওয়া একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনেই তাঁদের ছবি। নভেম্বরের শেষেই শুরু হচ্ছে ছবির শুটিং।
তাঁদের অন্যান্য ছবির মতোই ‘বেলাশেষে’র সঙ্গে অনেক বিষয়ে মিল থাকলেও একটি বিষয়ে এই ছবি আলাদা। এত দিন শিবপ্রসাদ-নন্দিতার সব ছবিতে নিবেদক হিসেবে অতনু রায়চৌধুরীর নাম থাকত। এ ছবি থেকে তা নেই। সেই ‘মুক্তধারা’ থেকে তাঁদের একসঙ্গে পথ চলা। জানা গেল, শিবপ্রসাদ-নন্দিতার সঙ্গে এ বার থেকে আর কাজ করবেন না অতনু। কিন্তু কেন? জবাবে দু’পক্ষই নীরব!