আবার এক চ্যালে়ঞ্জিং চরিত্র। ‘‘যে কোনও অভিনেত্রীর কাছেই এমন চরিত্র লোভনীয়,’’ বলছিলেন সেঁজুতি মুখোপাধ্যায়। তবে বঙ্গ-রঙ্গমঞ্চের ইতিহাস থেকে উঠে আসা ‘ধর্মাশোক’ বা ‘ইলাগূঢ়ৈষা’, ‘নটী কিরণশশী’ নয়, কলকাতা থেকে সেঁজুতি সোজা মুম্বই পাড়ি দিলেন ভিন্ন স্বাদের চরিত্রের টানে। সজল বাড়ুইয়ের ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত স্নেহাশিস মণ্ডলের ছবি ‘ধূসর’-এ অপরাধী ছেলের মায়ের চরিত্রে িতনি। পরিবারের মধ্যে বড় হয়েও একটি ছেলে কেন অপরাধী হয়ে ওঠে? তার ক্রিমিনাল ইন্সটিংক্টগুলো কেমন করে তৈরি হয়? তা নিয়েই গল্প। ছেলের সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক, প্রেমিকার সম্পর্ক আর খুন করে জেলে যাওয়ার পর জেলারের সঙ্গে সম্পর্ক এই তিন ধাপে ‘ধূসর’ মনের ধূসরতাকে খুঁজতে-খুঁজতে চলা। ছবিতে জেলারের চরিত্রে বিনয় পাঠক।
বাংলা-হিন্দি ভাষায় তৈরি ছবির শ্যুট হয়েছে মুম্বইয়ের মাড আইল্যান্ডে। ‘‘টানা সতেরো-আঠেরো ঘণ্টা শ্যুট করার পরেও দেখলাম ওখানে টেকনিশিয়ানরা এতটুকু বিরক্ত নন,’’ বলছেন সেঁজুতি। নাটকের সঙ্গে একটু অন্য ধারার ছবিতে ইদানীং কাজ করছেন সেঁজুতি। সীমা বিশ্বাস, সায়নী গুপ্তর সঙ্গে একটি ইন্দো-ব্রিটিশ ছবি ‘ডার্কনেস ভিজিবল’-এও অভিনয় করছেন তিনি।