সায়নী ঘোষের ট্যাটু।
জীবনের এক একটি পর্যায়ের ছাপ রয়েছে নিজের শরীরে। চোখে পড়লেই মনে পড়ে, তাঁর যাপনের বদলগুলোর কথা। মানসিক চিন্তাভাবনা পাল্টে যাওয়ার কথা। জীবনের তিনটি সময়। তিনটি ট্যাটু। শরীরের তিনটি জায়গা। সায়নী ঘোষ বললেন, ‘‘আমার যখনই ইনস্পিরেশনের প্রয়োজন পড়ে, আমি ট্যাটু করাই।’’
প্রথমটি, ‘মিস ঘোষ’। বাঁ হাতের কব্জিতে। সায়নীর তখন ১৯ বছর বয়স। অর্থাৎ ১০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সদ্য যৌবনে পা রাখা। মানুষ তখন নিজেকে জানতে শুরু করে। শৈশব, কৈশোর পেরিয়ে নিজের নতুন জীবনকে দু’হাত ছড়িয়ে গ্রহণ করে মানুষ।
দ্বিতীয়টি, ‘জোয়া ডি ভিভরে’। ডান হাতের বাহুতে। এটি একটি ফ্রেঞ্চ শব্দ। যার অর্থ, জীবন আসলে আনন্দের। ছোটখাটো মুহূ্র্তগুলোও সুখের। সেই আনন্দের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে এই তিনটি শব্দ। ৫ বছর আগে এই ট্যাটুটা তিনি করিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: কাজে ব্যস্ত করিনা, সেট থেকেই শেয়ার করলেন বেবি বাম্পের ছবি
তৃতীয়টি, ইয়েন ইয়াং চিহ্ন। মাস দুয়েক আগে মণ্ডালা আর্ট ফর্মে এই চিহ্নটি ঘাড়ে এঁকেছেন সায়নী। ‘মণ্ডালা’ শব্দটি সংস্কৃত। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মে প্রচলিত বৃত্তাকার চিহ্নের শিল্প। আর ইয়েন ইয়াং আদপে দু’টি শক্তির সহাবস্থানের কথা বলে। ভাল ও খারাপ। যেই সময়ে জীবনের জটিলতা গুলো বার বার চোখের সামনে চলে আসে, সেই সময়ে এ রকম একটি চিহ্নই সব কিছুর সঙ্গে লড়াই করার জন্য শক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: ‘বাড়িতে কেউ তো অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে’, কেন বললেন শাহরুখ?
সায়নীর অনেক বন্ধুই তাঁকে বলেছে পুরনো ট্যাটুগুলো মুছে ফেলতে, কিন্তু তিনি সেটা চান না। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ‘মিস ঘোষ’ লেখা ট্যাটু মুছে ফেলার কথা এক দু’বার ভেবেছি। কিন্তু পরে মনে হয়েছে, আমি তো ওই মানুষটাও ছিলাম, যে নিজের নাম হাতে লিখে রাখে। সেই সময়টাকে মুছে ফেলার তো দরকার নেই। এক একটা ট্যাটু এক একটা সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয় আমায়।’’